আইআরজিসির আরেক কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

শনিবার দিনের শুরুতে ইসরায়েল দাবি করেছিল, তাদের সেনাবাহিনী ইরানের কোম প্রদেশে একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলা চালিয়ে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) বিদেশি শাখার একজন অভিজ্ঞ কমান্ডারকে হত্যা করেছে।এবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা তেহরানে রাতে এক হামলায় গাড়িতে থাকা অবস্থায় আইআরজিসির আরেকজন কমান্ডার হত্যা করেছে। এই কমান্ডারের নাম বেনহাম শরিয়ারি।ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, এই কমান্ডার মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানি সরকারের পক্ষ থেকে তাদের মিত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে অস্ত্র সরবরাহের পুরো দায়িত্বে ছিলেন।ইসরায়েলি সামরিক সূত্র জানায়, শরিয়ারি হিজবুল্লাহ, হামাস ও ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর কাছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট সরবরাহ করতেন।তবে এই দুই কমান্ডারের নিহত হওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত আইআরজিসির পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তাছাড়া কোম শহরে কুদস ফোর্সের ফিলিস্তিন ইউনিটের কমান্ডার নিহত হওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল।
সে বিষয়েও ইরান কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কুদস ফোর্স ১৯৮২ সালে লেবাননে হিজবুল্লাহ গঠনের মাধ্যমে এবং গাজায় হামাসকে সহায়তা দিয়ে ‘অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ নামে একটি আরব মিত্র নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। তবে গত দুই বছরে ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় ইরানঘনিষ্ঠ এই জোট বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।১৩ জুন ভোরে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারপর পাল্টা হামলায় নামে ইরান। উভয় দেশ হামলা ও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গেছে বলে অভিযোগ তুলে দেশটিতে নজিরবিহীন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল; যেখানে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা বলছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর কাছাকাছি পৌঁছানোর কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই।ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার আছে বলে অভিযোগে ২০০৩ সালে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যদিও তেমন কোনো অস্ত্রই ছিল না ইরাকে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল ইরাক মডেলে ইরানে হামলা চালাচ্ছে, যার কোনো ভিত্তিই নেই।ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ লিখেছে, জায়নবাদী শাসন ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে একটি উস্কানিমূলক আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার ফলে অনেক শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক নিহত হন।ইরানি সামরিক বাহিনী তাত্ক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা শুরু করে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর মহাকাশ বিভাগ ২১ জুন পর্যন্ত ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ (সত্য প্রতিশ্রুতি-৩) অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।