রফিকুল ইসলাম জিন্নাহকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ: রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা
ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দারুসসালাম থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম জিন্নাহ-কে জড়িয়ে একটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা সংবাদ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় তিনি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। রফিকুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, “যে ছেলে কামরুলের সাথে আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে, আমি তাকে চিনিই না। কামরুল ১০ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার সাথে আমার কোনো পূর্ব পরিচয় ছিল না। সে বিভিন্ন সময় এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এ বিষয়ে আমাদের এলাকার কিছু সচেতন যুবক তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে সময় সে একটি প্রোগ্রামে আমিনবাজার ব্রিজের উপরে মিছিল করার কথা অস্বীকার করে। কিন্তু স্থানীয়রা তার মোবাইল চেক করে দেখতে পায়—সে বিভিন্ন আওয়ামী লীগ গ্রুপের সাথে যুক্ত এবং বেশ কিছু নাশকতামূলক আলোচনায় অংশ নিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দারা কামরুলকে জিজ্ঞেস করে কেন সে আওয়ামী লীগ করে, অথচ এমন খারাপ পরিকল্পনায় যুক্ত হয়েছে। তখন সে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে সে আমার লোকজনের নামে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তোলে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এমনকি তার বাবা নিজে আমাকে এসে বলেন, কামরুল আগে আওয়ামী লীগ করলেও এখন আর করবে না।” প্রকাশ পায়, কামরুল বর্তমানে ট্রলারবাগ এলাকায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার দোকানে চাকরি করে, যার কোনো ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন নেই। এ বিষয়ে স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রফিকুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, “বিএনপি এবং আমার রাজনৈতিক অবস্থানকে হেয় করতেই এই মিথ্যাচার চালানো হয়েছে। আগস্ট মাসের পর বড় বড় নেতা ঘাপটি মেরে থাকলেও, তাদের কিছু ক্ষুদ্র কর্মী মাঠে থেকে প্রতিনিয়ত নাশকতার পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন। আমি এবং আমার সহকর্মীরা এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার।”
ছাত্রদলের অন্যান্য নেতারাও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের দারুসসালাম থানা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক শাকিল-এর নামেও মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “আমার রাজনৈতিক মান-সম্মান ক্ষুন্ন করতে এই কল্পিত ও বানোয়াট তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এটা একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হামলা।” ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বলেন, “রফিকুল ইসলাম জিন্নাহ একদিনে তৈরি হননি। তিনি দুঃসময়ে দলের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। , কিন্তু একজন ত্যাগী নেতাকে হার মানানো যায় না। মশাল সবসময় অন্ধকারকে জয় করে।” এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে রফিকুল ইসলাম জিন্নাহ যা তিনি সামাজিকভাবে প্রকাশ করেছেন। বিস্তারিতভাবে অভিযোগ খণ্ডন করেন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করেন। এই প্রতিবাদ নিউজটি বিএনপি ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি শক্ত অবস্থান এবং তথ্যভিত্তিক জবাব। আপনারা গুজব নয়, সত্য জানুন।
