২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি ❑ রবিবার

দক্ষিণ সতর গ্রামে কালভার্ট ভেঙ্গে মরণ ফাঁদ: জন দুভোর্গ চরমে!

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

ফেনী প্রতিনিধি:

ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভার দক্ষিণ সতর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের মৌলভী পাড়ার মিয়াজী বাড়ীর রাস্তার ফুলছড়ি খালের উপর নির্মিত কালভার্ট অপরিকল্পিত খাল খননের ফলে ভেঙ্গে পড়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ কারণে প্রতিনিয়ত ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। তবুও দেখার যেন কেউ নেই! কর্তৃপক্ষের নজদারির অভাবে চলাচলের বিকল্প কোন ব্যবস্থা হয়নি। ফলে ওই গ্রামের ৪/৫ হাজার মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত কালভার্টটি ভেঙ্গে পরে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের, চলাচল বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যান বাহন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় ৫ বছর ধরে কালভার্টটি ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ পুনঃ নির্মানের উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে করে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাই দ্রুত সমস্যা সমাধান ও নতুন কালভার্ট নির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানান এলাকাবাসী।

বিজ্ঞাপন

এফবিসিসিআই এর জেনারেল বর্ডির মেম্বার, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক বেলাল হোসেন মিয়াজীসহ এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে অপরিকল্পিত পুনঃ খননকৃত ফুলছড়ি খালের তীব্র স্রোতের কারনে কালভার্টটি ভেঙে যায়। তারপর হতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কালভার্ট দিয়ে পার হতে হয় শত শত শিক্ষার্থীসহ একটি গ্রামের মানুষদের। এ কারনে দক্ষিণ উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ সতর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ সতর তালিমুল কোরআন মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝামাঝি এ কালভার্টটি ভেঙ্গে এমন দশায় পরিণত হয়েছে যে প্রতিদিন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ নানা শ্রেণি-পেশার প্রায় ৫ হাজার লোকের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে অসংখ্য মটর সাইকেল, রিকাশা, ভ্যান, ইজিবাইক, সিএনজি ও পিক-আপ ভ্যানসহ বিভিন্ন রকমের মোটরযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী, বয়স্ক লোক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। কিন্তু খোঁজ নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশিষ্টদের। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও পৌর মেয়রকে অবহিত করার পরও কালভার্টটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ আজো নেয়া হয়নি।

এই বিষয়ে ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র এম মোস্তফা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে খাল খননের ফলে পৌর এলাকার অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল,ব্রিজ, কালভার্ট ও রাস্তা খালে বিলীন হওয়ার পথে। ফলে ১০/১৫ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয় পৌরসভা। তবে ফুলছড়ি খালের উপর নির্মিত কালভার্টটিও অপরিকল্পিতভাবে খাল খননের ফলে ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি পুননির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রজেক্ট দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয়ের বরাদ্দ পেলেই দ্রত কালভার্ট পুনঃ নির্মান করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত

পর্যটন ব্যবসা এগিয়ে নিতে নেপাল-বাংলাদেশ এলায়েন্স গঠন

কাঠমান্ডু (নেপাল) সংবাদদাতা নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএফএ) গতকাল সকালে...