২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি ❑ সোমবার

একরকম সংগ্রাম করেই নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছি: মডেল হৃদি

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

কুরসিয়া জামান প্রিতম:

স্বপ্ন তো সবাই দেখে কিন্তু লক্ষ্যে কতজনই বা পৌঁছাতে পারে। শুধু স্বপ্ন দেখলেই হয় না পূরণ করার জন্য ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম দরকার। তেমনই একজন, ফ্যাশন মডেল ও অভিনেত্রী ‘তানিয়া আক্তার হৃদি’। যিনি নিজের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য নানা চড়াই-উৎরাই পার করে পরিবার ও আশেপাশের মানুষের সাথে সংগ্রাম করে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছান।

বিজ্ঞাপন

ঢাকার মেয়ে অভিনেত্রী হৃদি। ছোটবেলা থেকেই মিডিয়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল তার। টিভিতে বিভিন্ন ফ্যাশন শো দেখে সেভাবে হাঁটার চেষ্টা করতেন। তখন থেকেই স্বপ্ন বুনেন অভিনেত্রী হওয়ার। কিন্তু পরিবারের কেউ মিডিয়াতে যুক্ত না থাকায় বা পছন্দ না করায় কখনো বলে উঠতে পারেনি নিজের ইচ্ছের কথা। এভাবে চলতে চলতে একদিন চলে আসে সেই স্বর্ণালী দিন। শরতের একটি শ্যুটের মাধ্যমে মডেল হিসেবে মিডিয়া জগতে পা রাখেন ‘তানিয়া আক্তার হৃদি’। তারপর থেকেই শুরু হয় হৃদির সংগ্রাম। যেহেতু পরিবারের কেউই মিডিয়ায় কাজ করা পছন্দ করে না। সেহেতু তাদের মানিয়ে নেওয়াটাও ছিল একটি যুদ্ধ। সংগ্রাম করে পরিবারকে মানিয়ে নিলেও আত্মীয়-স্বজনের নানা মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হয় তাকে। সেটাও পার করে আজ স্বপ্ন পূরণ করেছেন হৃদি।

নিজের অভিনেত্রীর হওয়ার লড়াই ও নানা বিষয় নিয়ে “দি ডেইলি ট্রাইবুনালে”র সাথে কথা বলেন অভিনেত্রী ‘তানিয়া আক্তার হৃদি’। সাক্ষাৎকার নেন ‘কুরসিয়া জামান প্রিতম’।

হৃদি জানান, ‘ছোটবেলার স্বপ্নটাকে এক রকম যুদ্ধ করেই পূরণ করেছি। আসলে সবাই সবকিছু চাইলেই পায়না। সেটা পাওয়ার জন্য অনেক সময় সংগ্রাম করতে হয়। আমার ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে। আমাকে অভিনেত্রী হওয়ার জন্য অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমি মূলত, ফ্যাশন মডেল হিসেবেই বেশি কাজ করছি। কিন্তু সাথে আমি নাটকেও কাজ করছি। সম্প্রতি আমি “ক্র্যাজি গার্লফ্রেন্ড” নামে একটা নাটকের কাজ শেষ করেছি।’

প্রথম নাটকে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও রিলিজের পরের অনুভূতির বিষয়ে হৃদি বলেন, ‘প্রথমবার যখন আমি ক্যামেরার সামনে যায়, তখন আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম। যেহেতু আমার প্রথম কাজ ছিল, একটু ভয়ে ছিলাম। কিন্তু ডিরেক্টরের সহযোগিতায় আমি কাজটি সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। তারপর যখন নাটকটি রিলিজ হলো তখন আমি খুবই উত্তেজিত ছিলাম। প্রথমবার নিজেকে অনস্ক্রিনে দেখা অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করেছিল।’

বিজ্ঞাপন

বড় পর্দায় কাজ করার বিষয়ে হৃদি জানান, ‘মিডিয়াতে কাজ করলে, বড় পর্দায় কাজ করা সবারই একটা স্বপ্ন থাকে। তেমনি আমারো আছে। সিনেমায় কাজের প্রস্তাবও আসছে কিন্তু সবদিক দিয়ে না মেলায় এখনো সিনেমায় কাজ করতে পারছি না। আমি আসলে গতানুগতিক কোন গল্পে কাজ করতে চাচ্ছি না। আমি বড় পর্দায় প্রথম কাজটা একটা ইউনিক গল্পে কাজ করতে চাচ্ছি। যেখানে মানুষ আমাকে প্রথম সিনেমার চরিত্রের মাধ্যমেই মনে রাখতে পারবে। মানুষের মনে দাগ কেটে থাকে। এমন গল্প পেলেই কাজ করবো।’

মিডিয়াতে কাজ করতে গিয়ে কোন অনাক্ষ্খিত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন কি-না জানতে চাইলে হৃদি বলেন, ‘অনাক্ষ্খিত ঘটনাটি আসলে নির্ভর করে কে কিভাবে কাজ করতে চায় তার ওপর। একটা জায়গায় সেখানে থাকা মানুষগুলোর একেক জনের চিন্তা একেক রকম হয়ে থাকে। এখন সেটা আমাকেই ভাবতে হবে যে আমি কোন রাস্তায় কিভাবে কার সাথে কাজ করবো। অনেক সময় দেখা যায় অনেক কিছু মেনে নিতে পারি না। তাই দেখা যায় সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারি না। মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে সিন্ডিকেটের কারণে দেখা যায় প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ ভালো কাজ করতে পারছে না।’

কাজের বাইরে অবসর সময়ে কি করা হয় জানতে চাইলে হৃদি বলেন, ‘অবসর সময়ে আমি আমার পরিবারের সাথেই সময় কাটাতে পছন্দ করি। মিডিয়ার আর ৫ জনের মতো আমার আড্ডার কোন সার্কেল নেই। তাই আমি আমার পরিবারে সাথেই সময় কাটাতে বেশি পছন্দ করি।’

বিজ্ঞাপন

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে হৃদি বলেন, ‘আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে আমি মিডিয়ায় একটা ভালো জায়গায় যেতে চায়। যেখানে কাজের মাধ্যমে মানুষ আমাকে এক নামে চিনবে জানবে। এমন এমন কাজ করতে চায় যাতে আমি কখনো মিডিয়া ছেড়ে দিলেও মানুষ আমাকে মনে রাখবে। ভালো ভালো কাজ উপহার দিতে চায় দর্শকদের।’

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত