অটিজম হচ্ছে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যা। যেখানে শিশুদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ, সামাজিক আচরণ, সামাজিক কল্পনা ইত্যাদি ক্ষেত্রসমূহে বেশ সমস্যা লক্ষ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা একে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার(ASD) বলেন। শিশুর জন্মের প্রথম তিন বছরের মধ্যে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রথম ১৮ মাস বয়স পর্যন্ত এটা বোঝা যায় না। ১৮ মাসের পর থেকে ৩ বছর বয়সের মধ্যে একটা শিশুর মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা যায়।
অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে-
বাচ্চাকে দৈনিক ৩ থেকে ৪ বার করে ৬ থেকে ৮ মিনিট করে দোলনায় দোলান। @ কিছু সময় পর পর বাচ্চাকে কোলে জড়িয়ে নিয়ে হালকা চাপ দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট ধরে রাখুন।
রাতে ঘুমানোর সময় ভারি কিছু চাপিয়ে রাখুন বা পায়ের সাথে ভারি কিছু বেধে রাখুন, যাতে তার নড়া-চড়াতে সমস্যা হয়।
@ বাচ্চার শরীরে- হাতের, পায়ের ও কোমরের জয়েন্টগুলোতে চাপ পড়ে এমন ধরনের অ্যাক্টিভিটি বেশি করে করুন। যেমন- সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা, সাইকেল চালানো, উঠবস করা, হামাগুড়ি দেয়া, পুশ-আপ দেয়া, শোয়া থেকে বসা ও বসা থেকে শোয়া ইত্যাদি করানো।
বাচ্চাকে মাঝে মাঝে বাসার সাদা আলো বন্ধ করে রঙিন আলো জ্বালিয়ে শ্রুতিমধুর সাউন্ড, যেমন-মেডিটেশন সাউন্ড শোনানো।
অটিজমের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ এখন পর্যন্ত নির্ণয় করা না গেলেও কোনো কোনো বিজ্ঞানী মনে করেন, এর পেছনে দুটি কারণ রয়েছে, তা-
জিনগত সমস্যা
পরিবেশগত সমস্যা।
অটিজম চিকিৎসায় অন্যান্য প্যাথির চাইতে হোমিওপ্যাথিতে সফলতার হার বেশি। এজন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন, বাচ্চাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন তৈরি করতে সাহায্য করুন।
লেখক:
ডা. রাসেল আক্তার, ডি,এইচ,এম,এস. (ঢাকা)
চেম্বার- রাজ হোমিও ফার্মেসী, ফার্মভিউ সুপার মার্কেট (তৃতীয় তলা), ফার্মগেট, ঢাকা।
রোগী দেখার সময়: (দুপুর ০১:০০টা থেকে সন্ধ্যা ০৭:০০টা) মঙ্গলবার ছুটি।