২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি ❑ রবিবার

গাঁয়ে যেতে মন চায়, জানিনা কিসের নেশায়

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

গাঁয়ে যেতে মন চায়,
জানিনা কিসের নেশায়

-পরী ফিরোজা

বিজ্ঞাপন

খুব গ্রামে যেতে মন চাচ্ছে,
নিজের গ্রাম নাই তো, হাতের কাছে।
সুদুর যশোরের নড়াইলে,
যাওয়া যায়না, সহসা ইচ্ছে হলে।
কতোকাল যে দেখিনা,
মনের সাধকেও দমাতে পারিনা।
পুকুরের মাছ ধরা দেখা,
লাকড়ির চুলোয় রান্না রাঁধা।
ধানের জমিতে, আইলে হাঁটা,
নদীতে দেখা, জোয়ার ভাঁটা।
গিয়েছিলাম একবার ইসলামপুরে,
এখনো স্মৃতি হয়ে আছ, পুরোটা মন জুড়ে।
মধুমতির পারে, বেড়াতে যাওয়া,
কি নির্মল হাওয়া,
হেলে দুলে গলা ছেড়ে গান গাওয়া।
মাইলের পর মাইল, খোলা ভ্যানে চড়া,
জীবনের এক অভিজ্ঞতায় মোড়া।
জেন্ত ইলিশ মাছ ধরছিলো জেলে ভাই,
জীবনে জীবন্ত ইলিশ মাছ কখনো দেখি নাই।
সেই দেখেছিলাম প্রথম ও শেষ,
এখনো রয়েছে স্মৃতিতে রেশ।
কি স্বাদ যে ছিলো, সেই মাছে,
আমার জিহ্বার মাঝে, এখনো লেগে আছে।
দৌড়ে দৌড়ে মুরগী ধরা,
পুকুরের পাড়ে হাঁসের ডিম পাড়া,
সে সব দিয়ে পিকনিক করা।
চাঁদনী রাতে গ্রাম ঘুরা,
পুরাটা চাঁদ, নদীর পানিতে ঝলমল করা।
সাঁতার কেঁটে নবগঙ্গা নদী পার হওয়া, যায় কি সেকথা ভোলা?
চিত্রা নদীতে সাঁতার শেখার ছলাকলা।
কলার ভেলায় সাঁতার শেখা,
নতুন প্রজন্মের এসব, হবে কি কখনো দেখা?
ভোরের সোনালী রৌদ্রে, খেজুর পাতার পাটিতে বসে,
মুড়ি আর কাঁচা রসে।
মনে যে কি, আমেজ আসে,
আজ ঐগুলো শুধুই স্মৃতির আকাশে ভাসে।
নবগঙ্গা নদীর ধারেই ছিলো আমার নানীর বাড়ী,
গ্রামের নাম নলদী ছিলো, খেজুর গাছ সারি সারি।
বিশাল বড় বাগান নিয়ে আমার নানার ঘর,
কত রকমের ফল ফলাদি, দেখতে মনোহর।
হারিয়ে গেছে জসীমউদ্দিন,
হারিয়ে গেছে, আমাদের সেই সুদিন।
পড়ে আছে শুধু যান্ত্রিক জীবন,
গ্রামীণ জীবনের হয়েছে দাফন।
গ্রামে এখন লাকড়ির চুলা নেই,
ছন,খড়,টিনের, কাঠের, সুপারীর বেড়ার ঘর নেই।
সেই টালির ঘর গুলো কই?
ঘরে ঘরে সিলিন্ডার গ্যাস,
গ্রামটারে করলো শেষ।
ইট, সিমেন্টের দালান,
উঠানের ধান, মুসুরী, কলাই হয়েছে চালান।
গরু আর উঠানে ধান মাড়ায় না,
উঠোনটাও আর গবর দিয়ে লেটা পোছা হয় না।
মাটির ঘর তো নেই বললেই চলে,
সিং কেটে চোর ঘরে ঢুকবে বলে।
পুকুরে কেউ গোসল করেনা,
বিদেশী মাছের, চাষের ফরমা।
গ্রামের মানুষ এখন শহর মুখী,
শহরের মানুষ, বৈদেশে দুঃখী।
তবুও আমার প্রাণ কাঁদে গ্রামের লাগি।
হায়রে পরী অভাগী?
গাঁয়ের মানুষ সহজ সরল,
আন্তরিকতায় নাই তাদের কোনোই গরল।
আবারও একটু, গ্রামে চাই যেতে,
থাকতে মাটির পৃথিবীতে।
জানিনা হবে কি ইচ্ছে পূরণ,
যদি চলে আসে মরণ,
আমার এ লেখাটা তোমরা রেখো স্বরণ,
আমি পরী ছিলাম, সত্যি সাধারণ।

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত

পর্যটন ব্যবসা এগিয়ে নিতে নেপাল-বাংলাদেশ এলায়েন্স গঠন

কাঠমান্ডু (নেপাল) সংবাদদাতা নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএফএ) গতকাল সকালে...