২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি ❑ রবিবার

ছিনতাইয়ের আতঙ্ক নয়, নিরাপদে পথ চলতে চায় দেশবাসী

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

কুরসিয়া জামান প্রিতম:

সুযোগ পেলে সব জায়গাতেই ছিনতাই করে থাকে ছিনতাইকারীরা। আর এই ছিনতায়ের এক নগর যেন রাজধানী ঢাকা। প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনা একের পর বেড়েই চলেছে এই জাদুর শহরে। মানুষের কষ্টে উপার্জন করা মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিচ্ছে ছিনতাইকারীরা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে এদের হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছে না পুলিশ সদস্যরাও। রীতিমতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্রগুলো। বিশেষ করে রাস্তায় চলাচলকারী লোকজনের মনে সারাক্ষণ ছিনতাই আতঙ্ক লেগেই থাকে। পকেট বা ব্যাগ থেকে ফোন বা টাকার পার্স বের করার সময় আতঙ্কে থাকতে হয় এই বুঝি ছোঁ মেরে নিয়ে গেলো। সেই ভয়ে সহজে ফোন হাতে রাখতে বা ব্যাগ থেকে বের করতে চাই না কেউ। গাড়িতে জানালার পাশে বসলেও ফোন নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। অর্থাৎ বাসার বাইরে মানুষজন যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ ছিনতাইয়ের ভয়ে ভয়েই থাকতে হয়।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট, উত্তরা, চানখাঁরপুল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকা, গুলিস্তান, ধানমন্ডি, শাহবাগ, মগবাজার, রমনা, জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড, নিউমার্কেট, পান্থপথ মোড় ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায়ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইকারীদের মূল টার্গেটে থাকে পথচারী নারী ও ব্যবসায়ীরা। ছিনতাইকারীরা ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তি এবং বিকাশসহ মোবাইল ব্যাংক কর্মীদের টার্গেট করে থাকে। এসব ছিনতাইকারীদের হাতে অনেক সময় অস্ত্র থাকে। তাদের আঘাতে যখন-তখন প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ সাধারণ মানুষজন। আবার অনেকে আহত হয়ে বয়ে বেড়াচ্ছে দুর্বিষহ জীবন।

এই বিষয়ে সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, যারা চুরি বা ছিনতাই করে থাকে তাদের কাছে এটা একটা নেশা এবং পেশা। কারণ এদের বেশিরভাগই মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে। ফলে কোনটা অপরাধ আর কোনটা অপরাধ না সেটা তারা পার্থক্য করতে পারেন না। তাছাড়া ছিনতাইকারীদের উপরে প্রভাবশালী একটা মহল থাকে বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানী এবং অপরাধ বিশ্লেষকরা।

রাজধানীতে রোজই পুলিশি অভিযানে আটক-গ্রেফতার করা হচ্ছে অনেক চোর-ছিনতাইকারীদের। তাও কমছে না ছিনতাইয়ের ঘটনা। পুলিশের ডাটাবেজ অনুযায়ী রাজধানীতে প্রায় ৬ হাজার ছিনতাইকারী রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে জেলে পুরলেও জামিনে বের হয়ে আবার আগের মত তৎপরতা চালায়। এভাবে ছিনতাইয়ের মতো অমানবিক ঘটনা ঘটার পরে পুলিশ বা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তোড়জোড় লক্ষ্য করা গেলেও একসময় সেটা থিতিয়ে আসে। তাছাড়া বেশিরভাগ ঘটনা অপ্রকাশিতই থেকে যায়।

এভাবে আতঙ্কে চলাচল করতে চায়না সাধারণ জনগণ। তাদের প্রত্যাশা ছিনতাইয়ের ঘটনা যেন আর না বাড়ে। নিরাপদে পথচলার গ্যারান্টি চায় দেশবাসী। পুলিশের মনিটরিং সেল আরও জোরদার করার প্রত্যাশা তাদের।

বিজ্ঞাপন

কুরসিয়া জামান প্রিতম
সাংবাদিক/শিক্ষার্থী
দি ডেইলি ট্রাইবুনাল/গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত