২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি ❑ রবিবার

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হোক

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

রুহুল ইসলাম টিপু:

আজ ১০ ডিসেম্বর। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ২০২৩ এ মানবাধিকার দিবসের ৭৬ বছরে পদার্পণ। ১৯৪৮ সালের আজকের দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাস প্রতিদিন প্রত্যেকের জন্য সর্বত্র মানবাধিকার প্রচার এবং সম্মানের আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

সকল মানুষ স্বাধীন এবং সমান মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এবার সার্বজনীন ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারের জন্য হাই কমিশনার অফিসের ৩০তম বার্ষিকী একই দিন হওয়ায় একটি সম্মিলিনও বটে। বিশ্ব এ মুহূর্তে মানবাধিকার ৭৫ নামক মাইলফলক এর ইতিহাস হয়ে থাকবে। ঘোষণার মূল উচ্চাকাঙ্খা হচ্ছে সাম্য, মৌলিক স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের সাথে দেশ এবং সমাজকে প্রভাবিত করা। সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র জাতীয় স্থানীয় আইন নীতি বৈশ্বিক নকশা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডার ভিত্তি। স্মরণকালের বিশ্ব অভিজ্ঞতাকে ধারণ করে মানবাধিকারের সার্বজনীনতা এবং অবিভাজ্যতার সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। তরুণদের মধ্যে মানুষকে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করার জন্য ক্ষমতায়ন করা; অংশীদারীত্বের মানবতার আন্দোলন গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করার সংস্কৃতি এখন সময়ের দাবি।

সমকালীন সময়ে পৃথিবীর অভিজ্ঞতায় যুক্ত হয়- দুটি বিশ্বযুদ্ধ প্রত্যক্ষের। লীগ অব নেশনস বিলুপ্ত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবসানের পর জাতিসংঘ ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর পরের বছর ১৯৪৬ সালে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা প্রণয়নের লক্ষ্যে কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্রের মিসেস এলিনিয়র রুজভেল্ট এর নেতৃত্বে খসড়া প্রণয়ন হয়। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৩ বছরের মধ্যে ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৮ এ প্যারিসে অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। ৩০ ধারা সম্বলিত সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রে সকল মানুষের সব মৌলিক অধিকারকে সযতেœ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান মিসেস এলিনিয়র রুজভেল্ট পৃথিবীর সকল দেশের সকল মানুষের ‘ম্যাগনা কার্টা’ বলে আখ্যায়িত করেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব এর এ বছরের বাণীতে এসেছে- ৭৫ বছর পূর্বের আইকনিক ঘোষণা সমভাবে এখনও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। সর্বজনীন ঘোষণা একটি রোডম্যাপ যা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে, বিভেদ নিরাময়ে এবং সবার জন্য শান্তি ও মর্যাদার জীবনকে উন্নীত করতে সাহায্য করে। পৃথিবী তার পথ হারাচ্ছে। দ্ব›দ্ব বাড়ছে। দারিদ্র্য ও ক্ষুধা বাড়ছে। বৈষম্য আরও গভীর হচ্ছে। জলবায়ু সংকট একটি মানবাধিকার সঙ্কট যা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে আঘাত করছে। কর্তৃত্ববাদ বাড়ছে।

২৫ মার্চ একাত্তরে গণহত্যা শুরুর পর বাংলাদেশের কেউই নিরাপদ ছিল না। চরম লঙ্ঘনসহ সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস এদেশের মানুষের দেহে মনে গ্রোথিত। ৩ মিলিয়ন শহীদানের রক্তের মাটিতে বসবাস করেন এদেশের সকল মানুষ। বাংলাদেশের অভ্যুদয় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে লাল সবুজের জন্ম- চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকারের ফসল। জাতিসংঘের সে সময়ের মহাসচিব উথান্টের মতে, ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত মানবাধিকার ঘোষণার প্রভাবে কমপক্ষে ৪০ টি দেশের সংবিধান রচিত হয়। ২০০৭ এসে সংবিধান রচনা এ সংখ্যা দাড়ায় ৯০। যেখানে সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা আলোকে রচিত। বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ-১১ এ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে। এবং প্রশাসনের সকল পর্য্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।’

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘ প্রণীত মানবাধিকারের মূল সনদসমূহ হচ্ছে- জাতিগত বৈষম্যের সকল প্রকার নির্মূলের আন্তর্জাতিক সনদ; নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের উপর আন্তর্জাতিক চুক্তি; অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অধিকারের উপর আন্তর্জাতিক চুক্তি; নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত সনদ; নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেশন; শিশু অধিকার সনদ; সকল অভিবাসী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অধিকার রক্ষার আন্তর্জাতিক সনদ; নিখোঁজ হওয়া থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সংক্রান্ত সনদ। এসব সনদ-চুক্তি-কনভেনশনের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়- রাষ্ট্রের নীতি বিধি বিধান আইন কানুন। ন্যায্য দাবির প্রকাশ হচ্ছে অধিকার।

মানবাধিকার হচ্ছে সর্বজনীন। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৬ থেকে ৪৭(ক) অনুচ্ছেদগুলো মৌলিক অধিকার হিসেবে চিহ্নিত। যদিও মানবাধিকারের ব্যাপ্তি আরো অনেক বৃহৎ। বাংলাদেশের আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ সার্বজনীন। আইন বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের কার্যকরী ব্যবস্থা সাধারণ মানুষ দেখতে চান। বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সংক্রান্ত সনদ এর সাথে আছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩। অটিস্টিকসহ সকল প্রতিন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ধারা- ২৫ (ক) নিজের ও নিজ পরিবারের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের নিমিত্ত পর্যাপ্ত জীবনমানের অধিকার প্রত্যেকেরই রয়েছে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সামাজিক সেবামূলক কার্যাদির সুযোগ এবং বেকারত্ব, পীড়া, অক্ষমতা, বৈধব্য, বার্ধক্য অথবা অনিবার্র্য কারণে জীবন যাপনে অন্যান্য অপারগতার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে উল্লেখযোগ্য কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের কথা উল্লেখ করা আছে, ‘রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন শক্তির ক্রমবৃদ্ধিসাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের দৃঢ় উন্নতিসাধন, যাতে নাগরিকদের জন্য (ক) অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও জীবনধারণের মৌলিক উপকরণ ব্যবস্থা; (খ) কর্মের অধিকার, অর্থ্যাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করে যুক্তিসঙ্গত: মজুরির বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার; (গ) যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম, বিনোদন ও অবকাশের অধিকার; এবং (ঘ) সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থ্যাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতৃ-পিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য লাভের অধিকার।’ এই অনুচ্ছেদে যেসব মানবাধিকার নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য বলে সাধারণত বিবেচিত হয় না। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রশাসনে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়, তা দুর্নীতিসহ নানান কারণে ফলপ্রসূও হয় না। মানবাধিকার দিবস রাষ্ট্র এবং জনগণকে এখান বেরিয়ে আসার তাগিদ দেয়। মানবাধিকার রক্ষায় নব পরিকল্পনায় সকলকে উদ্বুদ্ধ করে।

এ বছর নওগাঁয় র‌্যাবের হাতে আটক সুলতানা জেসমিন এর মৃত্যু মানবাধিকারের এক ঘটনা। একটি রাষ্ট্র কর্তৃক আইন শৃঙ্খলার একটি বাহিনী এবং কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ। জিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) পরিবর্তন করে নতুন আইন সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে নতুন আইন জাতীয় সংসদে পাশ হয়। যেখানে পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের মানবাধিকার ব্যবস্থা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির আওতায় তৃতীয়বারের পর্যালোচনার সময় গৃহীত ১৭৮ টি সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের নানা উদ্যোগ বা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা এসেছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের মানবাধিকার ব্যবস্থা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির আওতায় ১৩ নভেম্বর ২০২৩ এ চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচিত হয়। ইতোপূর্বে এ প্রক্রিয়ার আওতায় পর্যালোচিত হয়- ২০০৯ সালে প্রথমবার, দ্বিতীয় বার ২০১৩ সালে এবং তৃতীয়বার ২০১৮ সালে। সরকারের উচিৎ হবে মানবাধিকার সংক্রান্ত অভিযোগগুলো আরো যথাযথ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

বিজ্ঞাপন

০৭ জানুয়ারি ২০২৪ এ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হবে। সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ধারা- ২১(ক) প্রত্যক্ষ ভাবে অথবা অবাধে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজ দেশের সরকারে অংশ গ্রহণের অধিকার প্রত্যেকেরই রয়েছে। ২১ (গ) জনগণের ইচ্ছাই সরকারের ক্ষমতার ভিত্তি হবে; এই ইচ্ছা সর্বজনীন ও সমান ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নৈমিত্তিকভাবে এবং প্রকৃত নির্বাচন দ্বারা ব্যক্ত হবে। গোপন ব্যালট অথবা অনুরূপ অবাধ ভোট দান পদ্ধতিতে এরূপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে দেশ এ সময় সংঘাতপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ ও সহিংসতা আছে। বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ধর-পাকড়ের অভিযোগ উঠছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্র বেশ সংকুচিত। শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশের অধিকারে বাধারোপ করার অভিযোগ বাড়ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে উঠে আসে- শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় পৃথক অধিদপ্তর গঠন, বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ সংশোধন, সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্ত ও শাস্তি নিশ্চিত করা, দলিত ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করতে রিক্রুটিং এজেন্সির উপর নজরদারি বাড়ানোর বিষয়সমূহ।

এ দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে জাতিসংঘের মহাসচিব আরো জানান, নাগরিকের স্থান হচ্ছে সংকুচিত। মিডিয়া চারদিক থেকে আক্রমণের শিকার হচ্ছে এখন। লিঙ্গ সমতা একটি দূরের স্বপ্ন রয়ে গেছে। নারীর প্রজনন অধিকার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আজ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, নাগরিক এবং রাজনৈতিক- যা সকলকে রক্ষা করে; সমস্ত মানবাধিকারের প্রচার ও সম্মান আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সার্বজনীন ঘোষণা সাধারণ মূল্যবোধ এবং পদ্ধতির পথ দেখায় যা উত্তেজনা নিরসনে সাহায্য করতে পারে; নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে, যা বিশ্ব কামনা করে। গ্লোবাল ফ্রেমওয়ার্ক আপডেট এবং ২১ শতক’কে আরও কার্যকর করার উদ্দেশ্যেই আজকের কার্যক্রম। এতে মানবাধিকারের একটি অনন্য এবং কেন্দ্রীয় ভূমিকা থাকতে হবে। সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে ৭৫তম বার্ষিকী এবং আগামী বছরের ভবিষ্যতের শীর্ষ সম্মেলন, সর্বজনীন ঘোষণার নিরবধি মূল্যবোধের প্রতি রাষ্ট্রের অঙ্গীকার জোরদার করতে হবে।

এ দিবসের প্রতিপাদ্য- স্বাধীনতা, সমতা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষের মানবাধিকার সংরক্ষণ ও উন্নত হোক- এ প্রত্যাশা জ্ঞাপন করছি।

লেখক: উন্নয়ন কর্মী ও কলামষ্টি

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত