ইবি সংবাদদাতা:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৪ নারী কারাতে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বেল্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম সংলগ্ন টেনিস কোর্টে এই বেল্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইবি মার্শাল আর্ট সায়েন্স এসোসিয়েশন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির উপদেষ্টা আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল। তিনি প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট তুলে দেন। এসময় বেল্ট টেস্টিং এর পরীক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের কার্যকরী সদস্য এবং মার্শাল আর্ট সায়েন্স এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।
এছাড়া বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের সহকারী প্রশিক্ষক মনির হোসাইন, মার্শাল আর্ট সায়েন্স এসোসিয়েশনের ব্লাক বেল্ট প্রথম ড্যান সাদিয়া আক্তার কেয়া ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মার্শাল আর্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রশিক্ষক তানজিনা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সকাল ৯ টায় এবং বিকেল ৩ টায় বেল্ট টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনটির ১৪ জন নারী প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা শেষে পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে এর মধ্যে ৯ জনকে অরেঞ্জ বেল্ট এবং বাকি ৫ জনকে ইয়েলো বেল্ট প্রদান করা হয়।
ইয়েলো বেল্ট অর্জনকারী প্রশিক্ষণার্থী রুবাইয়াত হাসিন তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আমি অনেকদিন ধরে কারাতে শিখছি। আজকে আমাদের বেল টেস্ট হলো। আমার বেল্ট চেঞ্জ হয়েছে। আমি আরেকটা ধাপ উপরে উঠেছি, অনেক মোটিভেটেড ফিল করছি।
অরেঞ্জ বেল্ট অর্জনকারী ফাতেমা আক্তার স্বর্ণা বলেন, আজকে অরেঞ্জ বেল্ট পেলাম, অনেক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে অর্জন করলাম। প্রায় এক বছর ধরে শিখছি। অনেক ভালো লাগছে। তবে খুশির থেকে আমাদেরকে কিছু সমস্যা আছে। আমাদেরকে জিমনেসিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এছাড়া কোন ইকুয়েপমেন্ট নাই যে আমরা ভালো করে প্রশিক্ষণ নিব এবং কোনো প্রযোগিতায় অংশগ্রহণ করব। সেই রকম কোন সিস্টেম নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কারাতে প্রশিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস তানজিনা বলেন, আজকে সবাই মোটামুটি ভালোভাবে অংশগ্রহণ করেছে। ১৪ জন প্রশিক্ষণার্থ অংশগ্রহণ করেছে, আশা করি সামনে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যদি আমাদেরকে সহযোগিতা করে, সাপোর্ট দেয় তাহলে আশা করি পরবর্তীতে যে গেইমগুলো রয়েছে সেগুলোতে আমরা অংশগ্রহণ করতে পারবো। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সফলতা বয়ে আনতে পারবো।’
বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের কার্যকরী সদস্য রেজাউল করিম বলেন, আত্মরক্ষায় মেয়েদের মার্শাল আর্ট শেখাটা খুবই জরুরী। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং দেশের প্রত্যেক নারীদের জন্য এটা শেখা গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই যে তারা নারী শিক্ষার্থীদের কারাতে শেখার সুযোগ করে দিয়েছেন।