২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি ❑ রবিবার

ইবি’র বাস চালককে মারধরের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

ইবি সংবাদদাতা :

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নিজস্ব বাস চালক মোমিন শেখকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্পাসের ভাড়ায় চালিত বাস সুয়াইল পরিবহনের চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী বৃত্তিপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী মোমিন শেখ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগপত্র সূত্রে, শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে ক্যাম্পাসের বাস গুলো বৃত্তিপাড়ায় জ্যামে আটকা পড়ে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়ায় চালিত গাড়ি সুয়াইল পরিবহন বাহিরের যাত্রী উঠার জন্য গাড়ি থামালে সেখানে জ্যামের সৃষ্টি হয়। পরে মোমিন শেখ সামনে গিয়ে চালককে দ্রুত গাড়ি ছাড়ার কথা বললে, সুয়াইল পরিবহনের চালক জসিম, হেলপার লালন, গঞ্জনবি গ্রামের জুয়েল এবং রবিউলসহ প্রায় ৩০ জন মিলে তার উপর চড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে তাকে ব্যাপক মারধর করে।

এসময়, অন্য গাড়ির চালক সালাহউদ্দিন ভুক্তভোগীকে বাঁচাতে এলে তাকেও ব্যাপক মারধর করে এবং ভুক্তভোগীর গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলে। এসময় তার সঙ্গে থাকা স্মার্ট ফোনটি ভেঙে যায় এবং ভুক্তভোগী মোমিন ও সালাহউদ্দিনের শার্ট ছিড়ে যায়। এসময় সালাহউদ্দিনের পকেটে থাকা দশ হাজার সাতশত টাকা হামলকারীরা ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী অভিযোগপত্রে অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তিমূলক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুয়াইল পরিবহনের চালক জসিম বলেন, আমি ঘটনার সময় বাস থেকে নামিইনি। এমনিতেই প্রতিটি বাজারে ভ্যান-সিএনজি পরিবহনের জন্য জ্যাম থাকে। ওইসময় জ্যাম সৃষ্টি হলে সরকারি বাসের ড্রাইভার এসে আমাদের হেলপারকে বকাবকি ও মারতে উদ্যত হন। এসময় আমি বাস সামনে এগিয়ে সাইট দিই তাদের। হেলপারের বাড়ি ওই এলাকায় হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ওইসময় অনেক লোকের সমাগম হয় এবং মারামারির সৃষ্টি হয়। এতে আমার বাসের হেলপার প্রচন্ড মারধরের শিকার হয়।

বিজ্ঞাপন

পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জানতে পেরেছি তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ যেহেতু পেয়েছি আমরা পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এটা আমরা সকালের দিকে জেনেছি। পরে ভুক্তভোগী পরিবহন অফিসে অভিযোগ করলে আমাদের কাছে সেটার একটি অনুলিপি আসে। পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেটা রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত