১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ❑ মঙ্গলবার

এইচবিআরআই-এ দুদকের অভিযান, মিললো সত্যতা

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি

সরকারি আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউটে (এইচবিআরআই) দুদকের অভিযানে মিলেছে সত্যতা। দুই কোটি টাকার বেশি খরচ করে স্থাপন করা হয়েছিল জেনারেটর, সাব-স্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট। এসব প্ল্যান্টে এতো টাকা খরচ করা হলেও একদিনের জন্যও তা চালু হয়নি। অথচ সরকারি তহবিল ঠিকই ফাঁকা হয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগেও। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করে হয়।

বিজ্ঞাপন

দুদকের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বল হয়, গত রবিববার, ৬ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট দপ্তরের একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। পরিদর্শনে জেনারেটর, সাব-স্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট পরিদর্শন করে এবং সবগুলো মেশিনই অকার্যকর দেখতে পায় টিম।

এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপ-পরিচালক ( জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক গণমাধ্যমকে জানান, সরকারি আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউটে (এইচবিআরআই) জেনারেটর, সাব-স্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট স্থাপনে অনিয়ম এবং ২৮ জন নিরাপত্তাকর্মী কাজ করলেও ৪১ জনের বেতন উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে টিম জেনারেটর, সাব-স্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট পরিদর্শন করে এবং সবগুলো মেশিনই অকার্যকর দেখতে পায়।

তিনি আরও বলেন, এনফোর্সমেন্ট টিম এ বিষয়ে ইন্সটিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক আশরাফুল আলম এবং প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসারের সঙ্গে প্রজেক্টসমূহের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করে। তাদের ভাষ্য মতে, ওই প্রজেক্ট এবং নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ সম্পর্কে ইতোমধ্যে পৃথক পৃথক বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। টিম শিগগিরই প্রতিবেদন দাখিল করবে।

অন্যদিকে এইচবিআরআইর ভেতরে একটি অটোমেটিক ব্লক মেকিং প্ল্যান্টের কাজ পায় মহাখালী ডিওএইচএসের কিংডম বিল্ডার্স লিমিটেড। কিছুদিনের মধ্যে প্ল্যান্টটি তৈরি করে ১ কোটি ১ লাখ ১১ হাজার টাকার পুরো বিল নিয়ে চলে যায় প্রতিষ্ঠানটি। পরে দেখা যায়, প্ল্যান্টটি নিশ্চল। এ পর্যন্ত একটি ব্লকও তৈরি করতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর দারুস সালামে দেশের একমাত্র সরকারি আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউটে (এইচবিআরআই) চলেছে অনিয়ম ও দুর্নীতির মহোৎসব। ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল কিংডম বিল্ডার্সকে এইচবিআরআই কমপ্লেক্সে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি সাব-স্টেশন ও জেনারেটরের কাজ দেওয়া হয়। সাব-স্টেশন বাবদ খরচ ধরা হয় ৫০ লাখ টাকা। জেনারেটর বাবদ ৩৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা। স্থাপনসহ মোট দর ছিল ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬১৯ টাকা। অথচ এর বিপরীতে এইচবিআরআই বিল পরিশোধ করে ৯২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। অতিরিক্ত প্রায় ৮ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করার পরও শুরু থেকেই সাব-স্টেশন ও জেনারেটর উভয়ই বিকল। এরই মধ্যে এক বছরের সার্ভিসিং সময়ও শেষ। ঠিকাদারকেও কখনও তলব করা হয়নি। প্রায় কোটি টাকা খরচ করে এক টাকারও উপযোগিতা পায়নি এইচবিআরআই।

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত