২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ❑ মঙ্গলবার

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর মিরপুরে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

মাফিজুল ইসলাম
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে রাজধানীর মিরপুরে বিশেষ দোয়া- আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোর থেকে দুপুরব্যাপী মিরপুর ২ নম্বরস্থ ডা.এম আর খান শিশু হাসপাতাল সভাকক্ষে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে ভোর ছয়টায় জাতীয় পতাকা উত্তলন, সকাল আটটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান, সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত কোরআন তেলাওয়াত,দোয়া মাহফিল, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও আলোকচিত্র প্রদর্শন শেষ বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে হাসপাতালের পরিচালক (একাডেমিক) ডাঃ নব কৃষ্ণ ঘোষ বলেন,আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে বাংলার পূর্ব আকাশকে লাল করে উদিত হয়েছিলো একটি নতুন সূর্য্য,বাংলার আকাশে উড়েছিলো লাল-সবুজের পতাকা। সেই সাথে বিশ্বের বুকে জন্ম নিয়েছিলো নতুন একটি দেশ-বাংলাদেশ। সেদিনটি আমরা দেখিনি তবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও দেশের ইতিহাস থেকে আমরা সেগুলি জেনেছি। আর এটি সম্ভব হয়েছিলো মহান স্বাধীনতার মহান স্থপতি,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ ও দৃঢ় নেতৃত্বেই। তার ডাকেই লাখ লাখ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা আজকের এই দিনটি উপহার পেয়েছিলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাসপাতালের উপপরিচালক (প্রশাসন ও হাসপাতাল) মোঃ জান্নাত আলী বলেন,১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে টানা নয় মাস ব্যপী ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর অবশেষে ২৬ মার্চ এদেশ স্বাধীন হয়েছিলো। যার ফলে আজ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতে পারি। তাদের স্মরণেই প্রতিবছর আমাদের হাসপাতালে বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের আজকের এই আয়োজন। যত দিন বাচবো, যতদিন আমাদের এই হাসপাতাল থাকবে-ততদিনই প্রতিবছর এই আয়োজনের ধারা অব্যহত রাখার চেষ্টা করবো বলে আশাবাদ আমরা।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেঃ জেনারেল (অবঃ) ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,বঙ্গবন্ধুকণ্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রীর শেক হাসিনার হাত ধরেই উন্নত বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। তার হাত ধরেই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তনসহ লেগেছে ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া। চিকিৎসাসেবা পেশা একটি স্বেচ্ছাসেবা ও জনসেবা মূলক পেশা। আসুন আমরা দেশের সকল চিকিৎসকসহ চিকিৎসাসেবা পেশায় সংশ্লিষ্ট সকলে প্রতিজ্ঞা করি,২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের মাহাত্ম্য ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে জনসেবায় নিজেদেরকে সবসময় নিয়োজিত রাখবো,উৎস্বর্গ করবো।

ডাঃ শারমিন আফরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাসপাতালটির উপপরিচালক (হাসপাতাল) ডাঃ কিরিটি কুমার ঘোষসহ আরো উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির চিকিৎসক ও নার্সবৃন্দ।

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত