২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ❑ সোমবার

নাটোরে ৪৪ হাজার কৃষক পাচ্ছেন প্রায় আড়াই কোটি টাকার প্রণোদনা

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর জেলায় চলতি মৌসুম ৪৪ হাজার ২০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পাচ্ছেন দুই কোটি ৪৫ লাখ ৪১ হাজার টাকার উফশী ও হাইব্রিড জাতের বোরো প্রণোদনা। উন্নত জাত ও নতুন উদ্ভাবিত ফসল চাষাবাদে উৎসাহিত করতেই কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে উফশী ও হাইব্রিড জাতের বোরো বীজসহ রাসায়নিক সার। সরকারের প্রণোদনা সহায়তায় চলতি বোরো মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় এক হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জেলার সাতটি উপজেলায় ৪৪ হাজার ২০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উফশী ও হাইব্রিড জাতের ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে ১৬ হাজার ২০০ জন কৃষককে উফশী জাতের বোরো বীজ ও ২৮ হাজার জন কৃষককে হাইব্রিড জাতের ধান বীজ দেওয়া হবে। প্রতিজন কৃষককে উফশী জাতের ধান বীজ পাঁচ কেজি, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার এবং প্রতিজন কৃষককে দুই কেজি করে হাইব্রিড জাতের ধান বীজ প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হবে।

আরো জানা যায়, সদর উপজেলায় উফশী জাতের বীজ এক হাজার ৬০০ জন ও হাইব্রিড জাতের বীজ পাবেন পাঁচ হাজার কৃষক। নলডাঙ্গা উপজেলায় উফশী জাতের বীজ দুই হাজার ৪০০ জন ও হাইব্রিড জাতের বীজ পাবেন চার হাজার ৫০০ জন কৃষক। সিংড়ায় উফশী জাতের বীজ পাঁচ হাজার ৯০০ জন ও হাইব্রিড জাতের বীজ পাবেন আট হাজার জন কৃষক, গুরুদাসপুর উপজেলায় উফশী জাতের বীজ এক হাজার ৭০০ জন ও হাইব্রিড জাতের বীজ পাবেন চার হাজার জন কৃষক। এছাড়া বড়াইগ্রাম উপজেলায় উফশী জাতের বীজ এক হাজার ৭০০ জন ও হাইব্রিড জাতের বীজ পাবেন চার হাজার ৫০০ জন কৃষক, লালপুর উপজেলায় উফশী জাতের বীজ পাবেন এক হাজার ৭০০ জন ও হাইব্রিড জাতের বীজ পাবেন এক হাজার জন কৃষক এবং বাগাতিপাড়া উপজেলায় উফশী জাতের বীজ এক জাজার ২০০ জন ও হাইব্রিড জাতের বীজ পাবেন এক হাজার জন কৃষক। এজন্য প্রণোদনা বাবদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে হাইব্রিড জাতে এক কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও উফশী জাতে সারসহ ৯৮ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা।

নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, কিছুদিন পর থেকেই বোরোর চাষাবাদ শুরু হবে। এরই মধ্যে কৃষকরা বীজতলা প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন। আর চলতি মৌসুমে কৃষকদের উন্নত জাত এবং নতুন উদ্ভাবিত জাতের ফসল চাষাবাদে উৎসাহিত করতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সরকার এসব বীজ ও রাসায়নিক সার সহায়তা দিচ্ছে। এতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সহজেই স্বল্প সময়ে-স্বল্প খরচে ধান উৎপাদন করতে পারবেন। এর ফলে একদিকে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে কৃষকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। তিনি আরো বলেন, হাইব্রিড জাতের ধান প্রতি বিঘায় গড়ে ৩৫ মণ হিসাবে ৯৮০ মেট্রিক টন এবং উফশী জাতের ধান প্রতি বিঘায় গড়ে ২৫ মণ হারে ধরলে প্রায় ৪০৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। অর্থাৎ এবারের প্রণোদনায় পাওয়া সার ও বীজে এ জেলায় প্রায় এক হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত