৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি ❑ মঙ্গলবার

ইউএনও নূর-ই-আলম সিদ্দিকী অসহায় ও হতদরিদ্রদের আস্থার প্রতীক

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় হত দরিদ্রদের পাশে নিয়োজিত থাকায় এলাকার জনগণের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর -ই-সিদ্দিকী। তিনি অসহায় ও দুস্থ‍্য মানুষের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ‍্যম মানসিকতা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি সকল সুবিধা ও সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়ন সহ প্রশাসনিক সব ধরনের সেবা ছিন্নমূল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি।

দায়িত্বের বাহিরে থেকেও অনেক সময় সাধারণ জনগণকে ভালো রাখার প্রত‍্যয়ে দিনরাত ছুটে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সদ্দিকী। তিনি কিশোরগঞ্জ উপজেলায় যোগদান করেন ১৩ ফেব্রুয়ারী-২২ ইং তারিখে। যোগদানের পর থেকে নিজের সততা, মেধা ও বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে জয় করে নিয়েছেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা বাসীর মন। অসহায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে নিজের সমস‍্যার কথা বলতে পারে উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় কক্ষে এসে।সমাজের নিপীড়িত, নির্যাতিত অসহায়, দরিদ্র মানুষ সহ ভিক্ষক এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা নির্ভয়ে তাদের না বলা কথা গুলো ব‍্যক্ত করতে পারে এবং তিনি তা ধৈর্য‍্য সহকারে শুনে সমাধান ও করে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী অবিরাম ছুটে বেড়ান উপজেলার ৯ ইউনিয়নের অসহায় দুস্থ‍্য পরিবার গুলোতে।অসহায় পরিবারগুলোর জন্য সরকারী সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে ছুটে যান এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।

বিজ্ঞাপন

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ‍ে হতদরিদ্র ভূমিহীন মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরগুলোর কাজ সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী হচ্ছে কি-না তা তদারকি জন‍্য ইউনিয়ন গুলোতে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। উপজেলায় মোট ৫৮২ টি ভূমিহীন পরিবারকে দুই শতক জমি সহ সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগনের সাথে সকল বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।শুধু তাই নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা মোতাবেক এক ইঞ্চি জমি যাতে পরে না থাকে সেজন‍্য সবজি, বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ রোপনে উদ্বৃদ্ধ করেন।

মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা যাতে পড়ালেখায় পিছিয়ে না থাকে সেজন্য তিনি ঘরে বসে অনলাইন শিক্ষার ব্যবস্থা চালু করেছেন। শিক্ষা বৃত্তি সহ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও মার্তৃত্বকালীন ভাতা সহ অন‍্যান‍্য সুযোগ সুবিধা শতভাগ আওতায় আনার ব‍্যবস্থা করেছেন। এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট ১২ জন ভিক্ষুককে পূর্ণবাসন করে দিয়েছেন। প্রতিজন ভিক্ষুককে পঞ্চাশ হাজার টাকা তহবিল সহ টং দোকান ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন।তাদের নিয়মিত তদারকি করেন এবং ব‍্যবসায় মনোনিবেশ করার জন‍্য দোকান গুলো কিছু প্রয়োজনীয় পণ‍্য ক্রয় করেন। খেলাধুলার প্রতি ও তার মনোযোগ পিছিয়ে নেই।

যুব সমাজ কে মাদক থেকে দূরে রাখার জন‍্য খেলার সুষ্ঠ পরিবেশ তৈরী করেছেন। অসহায় গরীব খেলোয়ার জন‍্য শিক্ষা বৃত্তি সহ অন‍্যান‍্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করেন। প্রায় ৫ কোটি ব‍্যয়ে শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামের ব‍্যবস্থা করে দিয়েছেন। যাহার কাজ চলমান আছে।উপজেলার বিভিন্ন কাচাঁ রাস্তা এইচ বিবি করণ, সোলিং, কালভার্ট নির্মাণ করেছেন।তিনি একজন মানবিক নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।

উপজেলার প্রতিটি দপ্তর তিনি নিজের মতো করে পরিচালনা করেন।দাপ্তরিক ছোট খাটো যে কোন সমস‍্যা হলে সু কৌশলে তা নিরশন করেন।প্রতিটি কর্মকর্তার সাথে সুলভ আচরণ করেন সহ সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। ইতিমধ‍্যে অগোছালো কিশোরগঞ্জ বাজার সংস্কার করার উদ‍্যোগ গ্রহণ করেছেন।যাতে করে বাহিরের বড় বড় ব‍্যবসায়ীরা এসে এখানে ব‍্যবসা করতে পারে। বাজারের উন্নতি হলে সরকারী রাজস্বখাত বাড়বে এমন চিন্তা থেকেও পিছিয়ে নেই। অথচ তিনি একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হয়ে ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন নিয়ে সব সময় চিন্তা করেন।বাল‍্য বিবাহ, মাদক,জুয়া, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে বদ্ধপরিকর।

বিজ্ঞাপন

শ্বশান বাজার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আব্দুস সামাদ বলেন, ইউএনও স‍্যার একজন মানবিক মানুষ। বউ বাচ্চা নিয়ে থাকার মত কোথাও কোন মাথা গোঁজার ঠিক ছিল না। আমাকে জমি সহ পাকা ঘর দান করেছেন। এখন সুখে শান্তিতে বসবাস করতেছি।

একই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জামিনুর রহমান বলেন, মা সহ বউ বাচ্চাকে নিয়ে কিশোরগঞ্জ টেঙ্গনমারী সড়কের ধারে ছুপরীর মধ‍্যে ছিলাম। না ছিল টিউবওয়েল না ছিল গোসলখানা।খুব মানবতার জীবন যাপন করেছিলাম। একদিন হঠাৎ ইউএনও স‍্যার এসে খোজঁ খবর নিয়ে যায়। কিছুদিন পর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আমাকে ডেকে দুই শতক জমির দলিল সহ পাকা ঘরের চাবী বুঝিয়ে দিল। আমার মা ও বউ সহ সুখের কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলাম। আমরা সবাই দোয়া করি একজন সৎ ও মানবিক অফিসার ইউএনও স‍্যারকে আল্লাহ ভালো রাখুক।

একান্ত আলাপচারিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলা থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে দিন রাত মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। অসহায় গরীব মানুষদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন মানবিক সহায়তা সঠিকভাবে পৌঁছে দিচ্ছি। সরকারি-বেসরকারি কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা তাও দেখতে হচ্ছে। এগুলো আমার দায়িত্ব থেকে করি। প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রাম‍্য আদালতের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সঠিক বিচার পাবে এবং গ্রাম‍্য আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত