১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ❑ রবিবার

আমি অলরাউন্ডার হতে চাই: রোজ মল্লিক

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

কুরসিয়া জামান প্রিতম:

অসাধারণ গানের গলা। গান লিখেনও তিনি। শুরুটা অভিনয় দিয়ে মডেলিংও করেছেন কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে। নাচের দক্ষতাও আছে। একইসঙ্গে এতগুলো গুন মানুষটির। তাই হতে চান অলরাউন্ডার। বর্তমান প্রজন্মের তরুণ কন্ঠশিল্পী ‘রোজ মল্লিক’। মডেলিংয়ের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে আসলেও বর্তমানে গান নিয়েই ব্যাস্ত তিনি। পরিবার থেকে গানের হাতেখড়ি হলেও বাবার কাছ থেকেই বেশি প্রেরণা নিয়ে গানের জগতকে ভালোবেসেছেন রোজ।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান কর্মব্যস্ততা ও নানা বিষয় নিয়ে “দি ডেইলি ট্রাইবুনাল”র সাথে কথা বলেন তরুণ কন্ঠশিল্পী ‘রোজ মল্লিক’।

মিডিয়ায় কিভাবে আসা জানতে চাইলে রোজ বলেন, ‘আমি ২০১৩ তে থিয়েটারে যুক্ত হই। সেখানে আমি শিল্পকলায় একটা নাটকে কাজ করি। পরে সেখান থেকে র‌্যাম্প তারপরে গানের সাথে যুক্ত হয়েছি।’

সম্প্রতি কি কাজ করেছেন? এবং সামনে আর কি কাজ রয়েছে? জবাবে রোজ বলেন, ‘কয়েকদিন হলো আমার একটা গান রিলিজ হয়েছে “মন জ্বালা”। এছাড়াও আরো কিছু গানের কাজ শেষ হয়েছে। এগুলো রিলিজের অপেক্ষায় আছে। তাছাড়া মুভিতেও গান করা হয়েছে। সেগুলো সময়মতো মুক্তি পাবে।’

নিজের কন্ঠে প্রথম গান মুক্তির পর অনূভূতি কেমন ছিলো? জবাবে নাদিয়া নুপূর বলেন, ‘আমার প্রথম গান “করিলে চালাকি, পরে বুঝবে জ্বালাকি” ছিলো। এটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। তখন সবাই গানটি পছন্দ করেছেন। তা দেখে আমার খুবই ভালো লাগে। সেখান থেকেই আমি আরো উৎসাহ পেয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

নতুন গানে কাজ করার আগে কিভাবে প্রস্তুত করেন জানতে চাইলে রোজ বলেন, ‘আমার কাছে যদি গানের লিরিক্স, সুর ভালো লাগে। যদি মনে হয় আমি এটাতে কন্ঠ দিতে পারবো। তখন সেই গানটা নিয়ে আমি কাজ করি। প্রথমে গানটাকে বারবার শুনি, প্র্যাক্টিস করি তারপর সেটাতে ভয়েস দিই।’

গান লেখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ টা গান আছে যেগুলো আমিই লিখেছি। আর আমার লেখা গান যদি সবাই পছন্দ করে তাহলে অবশ্যই লিখব।’

নিজের গানে কতটুকু সন্তুষ্ট জানতে চাইলে রোজ জানান, ‘আমার গাওয়া গানে আমি মুটামুটি সন্তুষ্ট। তারপরও বাকিটা শ্রোতা বা দর্শকদের ওপর। তারা ভালো বললে, তাদের ভালো লাগলে তারা সন্তুষ্ট হলে আমিও সন্তুষ্ট।’

বিজ্ঞাপন

অভিনয়ের জগতে আসার বিষয়ে রোজ বলেন, ‘আমি যেহেতু থিয়েটার থেকে এসেছি। সেইক্ষেত্রে আমি অবশ্যই অভিনয়ও করতে চাই। অভিনয়েও আমার একটা ভালো লাগা আছে। অর্থাৎ, বলতে গেলে আমি অলরাউন্ডার হতে চাই। নাচ, গান, অভিনয়, মডেলিং সবই করতে চাই। আমি কয়েকটি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছি।’

মিডিয়ায় কাজ করতে গিয়ে কখনো কোন অনাকাঙ্ক্ষিত বা বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন? জবাবে, রোজ মল্লিক বলেন, ‘এমনটা সব জায়গাতেই আছে বা হয়। ভালো-খারাপ সব ঘটনায় ঘটে। সেটা নিজের ওপর নির্ভর করে। ভালো লাগলে মেনে নিবে নয়তো এড়িয়ে যাবে।’

নব্বই দশকের গান এখনো তরতাজা কিন্তু বর্তমানের গানগুলো কিছুদিন ভাইরাল থাকার পর সেটা সবাই ভুলে যায়, কেন এমনটা হয়,, কি তফাৎ দেখছেন? জবাবে রোজ বলেন, ‘আগে একজন গান লিখতো, সে শুধু গানের লাইন মিলাতেই ব্যস্ত থাকতো। পরে সেটা সেটাকে পাঠানো হতো সুরকারের কাছে সেখানে অনেক ভেবে চিন্তে সুর মেলানো হতো। তারপর মিউজিক ডিরেক্টর, এভাবে একে একে যাচাই করে করে একটা গান সম্পূর্ণ করা হতো। কিন্তু বর্তমানে যে গান লিখছে সেই সুর দিচ্ছে, সেই কন্ঠ দিচ্ছে আবার সেই অভিনয় করছে। যার কারণে যাচাই হচ্ছে না সেটা ভালো হলো কি না, সেটা রিলিজ করা বা তৈরি করা উচিৎ কি না। কেউ ভালো মন্দ বলতেও পারে না। মাইন্ড করে বসে থাকে।’

বিয়ে ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে রোজ জানান, ‘আপাতত বিয়ে নিয়ে ভাবছি না। এখন নিজেকে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আগে স্বপ্নগুলো পূরণ করতে চায়।’

টাঙ্গাইলের মেয়ে ‘রোজ মল্লিক’। পরিবারের সবাই গান গায়। গান ভালোবাসে। সেখানে বাবার গান গাওয়া থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সেও স্বপ্ন বুনে শিল্পী হবার। তারপরই স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় রাজধানী ঢাকায়। পূরণ করেছেন শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন। এখন আরো ভালো, বড় শিল্পী হওয়া লড়াইয়ে তিনি। তার কাজের মাধ্যমে সবার মনে থাকতে চায় রোজ।

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত