২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি ❑ রবিবার

জ্বালানি তেলের দাম কমতে পারে অক্টোবর মাসে

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, এরই মধ্যে সমন্বয়ের সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কিছু পর্যবেক্ষণ শেষে করে অক্টোবর মাস থেকে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। খবর- সারাবাংলা [২] বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশ অনুযায়ী চলতি বছরের মধ্যেই ফর্মুলাভিত্তিক মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন শুরু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। তবে তার আগেই জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে।
[৩] দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি তেলের দামকে একটি ফর্মুলায় নিয়ে আসা দরকার, প্রতিমাসে সে ফর্মুলা অনুযায়ী দাম সমন্বয় করা হবে। দেখা যায়, ছয় মাস পর হঠাৎ করে দাম বাড়ালে সেটি নিয়ে অনক কথাবার্তা হয়। আমরা চাই, এরকম যেন না হয়। আমরা চেষ্টা করছি এ মাসেই যেন সব প্রস্তুতি শেষ করে প্রতি মাসে দাম সমন্বয়ের বিষয়টি শুরু করা যায়। সেটি না হলেও সামনের মাস থেকে করব।
[৪] প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তেলের দাম সমন্বয় করার জন্য আমরা বিপিসিকে একটি ইনডেক্স করতে বলেছিলাম। বিপিসি কয়েক মাস ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। কাজটি যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। এটি নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। সরবরাহ ও বিপণদের ক্ষেত্রে মূল্য কত হবে, এসব বিষয়ও যুক্ত আছে।

 

বিজ্ঞাপন

[৫] বিপিসি সূত্রও জানিয়েছে, প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের এই প্রক্রিয়া নিয়ে তারা কাজ করছে। এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক দাম ওই ফর্মুলায় পরীক্ষামূলকভাবে পর্যালোচনা করা শুরু হয়েছে। অক্টোবর মাস থেকেই মাসে মাসে দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। [৬] প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ভারত তো প্রতিদিন দাম সমন্বয় করে। আমরা প্রাথমিকভাবে এক মাস পরপর দাম সমন্বয় করব। এরপর পর্যবেক্ষণ করে দেখব, বাজারে এর প্রভাব কী পড়ে। বছরখানেক এই পদ্ধতি অনুসরণের পর প্রয়োজন হলে আমরা সিদ্ধান্ত হালনাগাদ করতে পারি। পাশাপাশি নীতিগত কোনো পরিবর্তন যদি প্রয়োজন হয়, সেটিও করতে হবে। আইনি কাঠামো বা সরবরাহ কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হলে সেটিও করতে হবে। [৭] এই প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতকে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি। তারা যদি ডিস্ট্রিবিউশন করে তাহলে সেটা কি রকম সিস্টেমে চলবে। সব কিছু মিলিয়ে কাজ চলছে। আমরা মোটামুটি গুছিয়ে ফেলছি।

 

[৮] গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ওই ঋণ অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে একটি ছিল— আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। অক্টোবর মাস থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এই প্রক্রিয়াটিই। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর পাশাপাশি আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী আরও দুবার বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ করে বাড়াতে পারে। তবে আপাতত গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন তারা।

 

বিজ্ঞাপন

[৯] বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাশের দেশ ভারত প্রতিদিন জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করে। রাজ্যভেদে নির্ধারিত দরেও পরিবর্তন হয়। আবার অনেক উন্নত দেশ আন্তর্জাতিক বাজারদর ওঠানামা করলে মুহূর্তের মধ্যেই দাম সমন্বয় করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো নিয়ম নেই। এমনকি জ্বালানি তেল সরবরাহও একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানই করে থাকে। দামও নির্ধারণ করে সরকারি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানই। সেই দামে সারাদেশে জ্বালানি তেল বিক্রি হয়।
[১০] বিপিসির কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারদরের তুলনায় দেশে জ্বালানি তেলের দাম কম হলে বিপিসিকে লোকসান গুনতে হয়। সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে সেই লোকসান মেটাতে হয়। আবার আন্তর্জাতিক বাজারের দরের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হলে বিপিসি মুনাফা করে। তখন ভোক্তারা ক্ষতির মুখে পড়ে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম টালমাটাল হলেও দেশে জ্বালানি তেলের দাম সেভাবে সমন্বয় করা হয়নি। এবার আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী সেই সমন্বয়ের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে জ্বালানি বিভাগ

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত