২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ❑ মঙ্গলবার

স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষার মানোন্নয়নে নিপোর্ট এর ভূমিকা : মহাপরিচালক মোঃ শাহজাহান

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিবেদক

কোভিড-১৯ অতিমারি এবং এক অনাকাংখিত যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এবছর সারা পৃথিবীতে বিশ^ জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে। অতিমারি ও যুদ্ধের কারণে পৃথিবী থেকে অনেক প্রাণ অকালে ঝরে পড়লেও পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি কিন্তু থেমে নেই। জাতিসংঘের Department of Economics and Social Affairs কর্তৃক প্রকাশিত World Population Prospect ২০২২ রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২০০ বছরে বিশে^র জনসংখ্যা ৭ গুন বেড়েছে। ২০১১ সালে বিশে^র জনসংখ্য ছিল ৭০০ কোটি, তা এ বছরের শেষ নাগাদ ৮০০ কোটিতে উন্নীত হবে। উক্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৩০ সালে বিশে^র জনসংখ্যা হবে ৮৫০ কোটি, ২০৫০ সালে হবে ৯৭০ কোটি এবং ২১০০ সালে ১০৪০ কোটিতে পৌঁছাবে। বিশ^ জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বেড়ে চলেছে বাংলাদেশের জনসংখ্যা। এদেশে প্রথম আদম শুমারী অনুষ্ঠিত ১৯৭৪ সালে এবং তখন আমাদেরজনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লক্ষ। জুন, ২০২২ এ বাংলাদেশে ষষ্ঠ আদম শুমারী অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি অর্থাৎ ১৯৭৪ সাল হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত গত ৪৮ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় সোয়া দু’গুন। দু’ একটি নগর রাষ্ট্র ব্যতীতবাংলাদেশ পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা জনবহুল দেশ। বলা হয়, সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করা হলে সেখানে যে জনগনত্ব হবে বাংলাদেশের বর্তমান জনঘনত্ব তার চেয়ে বেশী।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে জনঘনত্ব যত বেশীই হোক না কেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনসংখ্যাকে কখনো সমস্যা হিসেবে নয় বরং সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উক্ত দর্শনের যোগসূত্র রয়েছে। সকলে একমত হবেন যে, আমাদেরঅর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধান তিনটি খাত পোশাক শিল্প, রেমিট্যান্স ও কৃষি- এর প্রতিটিই সম্ভব হয়েছে আমাদের জনসংখ্যর কারণে। গত অর্থ বছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২২০০ কোটি মার্কিন ডলার। আমাদের পোশাক কারখানায় প্রায় ৪০-৪৫ লক্ষ দক্ষ, অদক্ষশ্রমিক কাজ করছে। আমাদের রপ্তানী আয়ের সিংহ ভাগ আসছে তৈরী পোশাক রাপ্তানি থেকে। ধান, গরু, ছাগল, মৎস ও ফল উৎপাদনে আমরা অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছি।আমাদের বর্ধিত জনসংখ্যার কারনেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে যা নি:সন্দেহে আমাদের জনসংখ্যার ইতিবাচক দিক। দেশের ১৭ কোটি মানুষ মানে ১৭ কোটি সুযোগ ও সম্ভাবনা। ১৭ কোটি মানুষ তাদের রুটি রুজির জন্য শ্রম দিচ্ছে, পরিশ্রম করছে, তাদের অধিকারের চর্চা করছে যা দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করছে, সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে অবদান রাখছে।

স্বাস্থ্য খাতে বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশে প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে বিশ^মানের অনেক অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে এবং যন্ত্রপাতি ও ল্যাব করা হয়েছে। প্রায় সকল ধরণের চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই সম্ভব। বিগত ২-৩ বছরে সরকার প্রায় ১০ হাজার ডাক্তার ও ১৫ হাজার স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। অবশ্য ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিলেই কাংখিত ফল আশা করা যায় না। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরজ্ঞান, দক্ষতা ও সামর্থ্য বাড়ানো এবং ইতিবাচক মানসিকতার উন্নয়ন অপরিহার্য। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্বাস্থ্য খাতের জনবলকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নিপোর্ট সে কাজটি নিরলসভাবে করে যাচ্ছে। নিপোর্ট যে প্রশিক্ষণগুলো আয়োজন করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ম্যানেজমেন্ট এন্ড লিডারশীপ, প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ, ওরিয়েন্টেশন, কর্মসূচি ব্যবস্থাপনা, নবজাতকের সমন্বিত সেবা, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধ, অফিস ব্যবস্থাপনা, শৃঙ্খলা, শিষ্টাচার ও নৈতিকতা, মৌলিক প্রশিক্ষণ, ইন্ডাকশন/পুনঃ প্রশিক্ষণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাথমিক পরিচর্যা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার, শিশুর প্রারম্ভি বিকাশ, জন্মনিবন্ধন এবং শিশু অধিকার, দলগত প্রশিক্ষণ এবং সুপারভিশন, মনিটরিং ও ফলোআপ ইত্যাদি।

নিপোর্টের প্রশিক্ষণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি প্রশিক্ষণ কোর্সের কারিকুলাম ও মডিউলপ্রণয়ন করা এবং তার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ প্রদান। উপজেলা হতে টারশিয়ারী পর্যায়ে হাসপাতাল, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত ব্যবস্থাপক, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীগণের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজনের পূর্বেই কারিকুলাম ও মডিউল প্রণয়ন করা হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের পর নির্পোট স্ব-উদ্যোগে” কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাথমিক পরিচর্যা” বিষয়ে একটি কাকিুলাম ও মডিউল প্রণয়ন করে এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৪র্থ কোয়াটারে যখন সারাদেশে লকডাউন চলছিল তখন জুম প্ল্যাফর্মের মাধ্যমে অনলাইনে উক্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। বিগত ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রায় ১৫০০০ স্বাস্থ্য কর্মীকে ”কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাথমিক পরিচর্যা” বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণ এখনো চলমান রয়েছে। উক্ত কারিকুলামটি ব্যাপকভাবে প্রশংশিত হয়েছে। যে বিশেষজ্ঞগণ উক্ত কারিকুলামটি দেখেছেন তারা এটাকে সমৃদ্ধ এবং সমযোপযোগী কারিকুলাম মর্মে অভিহিত করেছেন। সম্প্রতি বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় বিশে^র দেশগুলোর অবস্থান/র‌্যাংকিং তুলে ধরে। বাংলাদেশ সেখানে ৫ম স্থান অর্জন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদূর প্রসারী চিন্তা, পরিকল্পনা ও দৃঢ় নেতৃত্বে এবং মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রম, সমযোপযোগী পদক্ষেপ ও দিক নির্দেশনার পাশাপাশি নিপোর্ট কর্তৃক ”কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাথমিক পরিচর্যা” বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদেরপ্রশিক্ষণ প্রদানেরমাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর নির্দেশের আলোকে নিপোর্ট ”হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা” বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কারিকুলাম তৈরী করেছে এবং কারিকলামের অন্তর্ভূক্ত প্রতিটি বিষয়ের উপর রাইট-আপ তৈরী করে মডিউলও ডেভালপ করেছে। শীঘ্রই প্রাইমারী, সেকেন্ডারী ও টারশিয়ারী পর্যায়ের হসাপাতাল ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে। নিপোর্ট আরও দু’টি কারিকুলাম প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ দু’টি হলো ”প্রবীন ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সেবা” এবং ”ফুড সেফটি ও হাইজিন”।

কারিকুলাম প্রণয়ন ও প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি নিপোর্ট স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতের সকল গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিগত ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে নিপোর্ট ১৪টি বিষয়ে গবেষণা করেছে।

বিজ্ঞাপন

গবেষনার মাধ্যমে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতের সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করা হয়। গবেষণসমূহের প্রাপ্ত ফলাফল স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নে ও নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখছে। এভাবে স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে নিপোর্ট অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।

মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা এবং কার্যকর পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতের টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট অর্জনে সরকার বদ্ধপরিকর। জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১১, বাংলাদেশের জনসংখ্যা নীতি ২০১২, স্বাস্থ্য সেবার অর্থায়ন কৌশলপত্র (২০১২-২০৩২), জাতীয় পুষ্টি নীতি ২০১৬, ৪র্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রাম (২০১৭-২০২২, বর্ধিত ২০২৩), স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন ২০১৮ (খসড়া), ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২০-২০২৫), টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০, রূপকল্প ২০৪১, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ যত্ন ও বিকাশের সমন্বিত নীতি ২০১৩ এর লক্ষ্য-উদ্যেশ্য বাস্তবায়নে নিপোর্ট স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং পুষ্টি সেক্টরের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে নতুন নতুন ইনোভেশনভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। কার্যক্রমসমূহের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো ঃ জার্নাল প্রকাশ, অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, নিপোর্টের মনোগ্রাম পরিবর্তন, নিপোর্টের জন্য একটি পতাকা তৈরী, কর্মকর্তাদের জন্য বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ, মডেল আরপিটিআই ও আরটিসি, নিপোর্টের কৌশগত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১, নিপোর্টের অধীন ১৪টি আরপিটিআই ও ২১টি আরটিসিতে আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, নিপোর্টের নিয়োগ বিধি সংশোধন, প্রশিক্ষণ নীতিমালা প্রণয়ন, পদ আপ-গ্রেডেশন, পদবী পরিবর্তন, ৫০ বছরের স্ট্যান্ডার্ড সেট-আপ, Training Management Software (TMS), মৌলিক প্রশিক্ষণে পিটি চালু, এবং মাননীয় মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এর নির্দেশে 5o Years of Ministry of Health and Family Welfare ” পুস্তক প্রকাশ। উক্ত কার্যক্রমগুলোর বেশ কিছু ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং বাকীগুলো বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতকে প্রস্তুতি নিতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেয়ার লক্ষ্যে নিপোর্ট সরকারের ডিজিটাল বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে কতিপয় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যাতে করে স্বাস্থ্য খাতের জনবলকে আরও দক্ষ ও প্রতিযোগী করে গড়ে তোলা যায়। ইতোমধ্যে নিপোর্ট তার নিজ জনবলের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। নিপোর্ট প্রধান কার্যালয়সহ আরপিটিআই ও আরটিসিসমূহে জুম প্ল্যাটফর্মে অন-লাইন ক্লাশ চালু করা হয়েছে। সুখী জীবনপ্রকল্পের সহায়তায় ট্রেনিং ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। টিএমএস চালু করার ফলে প্রশিক্ষণার্থীগণ অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা, প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনে দ্বৈততা পরিহার করণ এবং প্রশিক্ষণার্থীদের অন-লাইনে মূল্যায়ণের সুযোগ তৈরী হয়েছে। নিপোর্ট প্রধান কার্যালয় ও বেশ কয়েকটি আরপিটিআই এর প্রধান ফটকে ”ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড” স্থাপন করা হয়েছে। এতে সরকারের ও নিাের্টের কার্যক্রম ডিজিটালি জনগণের সামনে উপস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নিপোর্ট প্রধান কার্যালয়কে সিসিটিভি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুত করার লক্ষ্যে আরও যে উদ্যোগ গুলো নেয়া হয়েছে তার মধ্যে আরপিটিআই ও আরটিসিমূহে ওয়েবসাইট চালুকরণ, সব কয়টি প্রতিষ্ঠানকে সিসিটিভি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মনিটর করা, বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ও এডিপি (ওপি) বাস্তবায়নে সফটওয়ার তেরী, ই-লার্নিং, ই-লাইব্রেরী, ট্যাবের মাধ্যমে গবেষণার ডেটা সংগ্রহ/প্রশ্নমালা (ছঁবংঃরড়হহধরৎব) পূরণ, সম্মানীর অর্থ সরাসরি প্রাপকের হিসেবে প্রেরণ ইত্যাদি অন্যতম।

বিজ্ঞাপন

সরকারের রূপকল্প ২০৪১ এর সাথে মিল রেখে Strategic Plan of NIPORT ২০২১-২০৪১ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকার গৃহীত পরিকল্পনা এবং নিপোর্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টরের গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হলে দেশের স্বাস্থ্য সেবায় গুণগত পরিবর্তনে নিপোর্ট নেতৃত্ব দিবে বলে আমার দৃঢ় বিশ^াস। ৪র্থ এইচপিএনএসপি, পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫) ও এসডিজি ২০৩০ অনুযায়ী সবার জন্য মান সম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সরকার বদ্দপরিকর। ৭৫তম বিশ^ স্বাস্থ্য সম্মেলনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ৪৯% মানুষ মান সম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা পায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবার সাথে দারিদ্রতার একটা যোগসূত্র রয়েছে। মান সম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবার অভাবে এবং স্বাস্থ্য সেবার ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে অনেক মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে নেমে যায়। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে সামিল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের স্বাস্থ্য খাতে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। সুস্থ্য সবল ব্যক্তিই পারে দায়িত্বশীল আচরণ করতে এবং সুস্থ্য সবল জাতিই রাষ্টে ইতবিাচক ভূমিকা পালন করে জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারে। সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ২টি বিভাগ ও নিপোর্টসহ অধীনস্থ দপ্তরসমূহের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যেই আমরা একটি সুস্থ্য সবল জাতি গঠন করতে পারবো এবং বাংলাদেশ একটি উন্নত জাতিতে পরিণত হবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত