২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি ❑ রবিবার

পাগলা মসজিদে মিলেছে পৌনে ছয় কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

তাসলিমা আক্তার মিতু, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুললেই পাওয়া যায় কোটি কোটি টাকা।পাগলা মসজিদের আটটি লোহার দানবাক্স ৩ মাস ১৩ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে।

শনিবার (১৯আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এর উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদ দানবাক্স কমিটির আহ্বায়ক ও কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্স গুলো খোলা হয়।

বিজ্ঞাপন

দিনভর গননা শেষে এইপর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড টাকা পাওয়া গেছে। তেইশ বস্তায় মোট ৫ কোটি ৭৮ লক্ষ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও সাথে বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ,রৌপ্য ও হীরা পাওয়া গেছে।

এর আগে চলতি বছরের (৬মে) দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন চার মাসে ওই দানবাক্সগুলোতে জমা পড়েছিল ১৯ বস্তা টাকা। টাকার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯টাকা। এ ছাড়া আরও জমা পড়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। এছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন অসংখ্য মানুষ।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানায়,সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছে। দানবাক্সগুলো খুলে বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় নেওয়া হয় গণনার জন্য।প্রতিবারের মতো এবারও দানের সিন্দুকের টাকা গণনার সময় অনেক চিঠিপত্র, স্বর্ণ,রৌপ্য,বৈদেশিক মুদ্রা ও হীরা পাওয়া গেছে।

এছাড়াও টাকা গণনার কাজে মসজিদ-মাদ্রাসার ১৩৮ জন ছাত্র, রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মসজিদ মাদ্রাসার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দুই শতাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০ জন সদস্যও নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন,কিশোরগঞ্জে ১২০কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

অত্যাধুনিক মডেল পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্সে একসাথে ৩০ হাজার মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পরবে।ইতিমধ্যে মসজিদ নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। জনশ্রুতিতে আছে, পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে স্থিত হন এবং তাঁকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন।

উক্ত পাগলের মৃত্যুর পর তাঁর সমাধির পাশে পরবর্তীতে এই মসজিদটি গড়ে উঠে তাই কালক্রমে এটি পাগলা মসজিদ নামে পরিচিত হয়। মসজিদটি শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীর কাছেই নয়, সকল র্ধমাবলম্বীর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত। অনেকের বদ্ধমূল বিশ্বাস যে, কেউ সহি নিয়তে এ মসজিদে দান খয়রাত করলে তার মনের ইচ্ছা পূর্ণ হয়।

অধিকরণ/এসআর

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত