২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ❑ সোমবার

কোনভাবেই পয়ঃবর্জ্য ড্রেনে ফেলা যাবে না – মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

“আমাদের পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা লাইন থাকতেই হবে। পয়ঃবর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করতে পারলে আমাদের এই প্রাণের শহর, আদরের শহর ঢাকাকে বাচানো যাবে না। অতএব, কোনভাবেই পয়ঃবর্জ্য ড্রেনে ফেলা যাবে না।” আজ ১৩ মার্চ ২০২২ তারিখ রবিবার সকালে নগরভবনে আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী চলমান “নিরাপদ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনাঃ আমাদের করণীয়” শীর্ষক কর্মশালায় প্রথম দিনের অধিবেশনে সভাপতির বক্তবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, “রাজধানী ঢাকার অসংখ্য বাসাবাড়ি এমনকি গুলশান, বনানী ও বারিধারার মতো অভিজাত এলাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের জীব বৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে আশেপাশের পরিবেশও। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই নগরে জল জীব-বৈচিত্র ফিরিয়ে আনতে চাই।”

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, “নগরীর খাল ও জলাধার গুলোতে এমন পানি চাই যেখানে মশার প্রজনন ক্ষেত্র নয় মাছ চাষ করা যাবে।” রাজউককে উদ্দেশ্য করে মেয়র বলেন, “তারা যেন কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থার সংস্থান রেখেই ভবনের নকশার অনুমোদন প্রদান করে। ডেভলপার কোম্পানীগুলোকে ভবন নির্মাণ করার ক্ষেত্রে কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি নিজে গিয়ে দেখেছি গুলশানে, বারিধারাতে, বাড়ির মালিকরা প্রত্যেকে বলেন, আমরা তো সংযোগ দিয়ে দিয়েছি। আপনারা কোথায় সংযোগ দিয়েছেন? আপনাদেরকে দেখতে হবে, আপনারা সংযোগ কোথায় দিয়েছেন। দেখা যাবে, সেই সংযোগটি সুয়ারেজে না গিয়ে স্টর্ম সুয়ারেজে গিয়ে পড়েছে।” তিনি কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, “কোনভাবেই সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনে পয়ঃবর্জ্য ফেলা যাবে না। এই বার্তাটা আপনাদের শহরের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি, মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী বলেন, “রাজধানীর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বাসা-বাড়ি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে।” এসময় মন্ত্রী লাউতলা খাল উদ্ধারের প্রসঙ্গ টেনে ডিএনসিসি মেয়রের প্রশংসা করেন।

উল্লেখ্য, কর্মশালায় ১৫টি স্টল তাদের বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা প্রক্রিয়া প্রদশর্ন করেন। এসম্য় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং ডিএনসিসি মেয়র স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। At Source এ কিভাবে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা যাবে সে বিষয়টি এই প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে। ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজাসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট ও ইউনিসেফের ওয়াশ বিভাগের প্রধান জায়েদ জুরজি, ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত