২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ❑ সোমবার

ছবি এঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অটিজম শিশু সোহেলের বিশ্ব জয়

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন অটিজম শিশু সোহেল রানা সাফি গ্রামীণ দৃশ্যপটের ওপর একটি ছবি এঁকে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের আঁকা ছবি নিয়ে সম্প্রতি অনলাইনের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম, দ্বিতীয় চীন এবং বাংলাদেশের অটিজম শিশু মো. সোহেল রানা সাফি তৃতীয় হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অটিজম শিশু সোহেল রানা সাফি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারঘোরিয়া ইউনিয়নের মো. মাইনুল ইসলামের ছেলে এবং সুইড বাংলাদেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার ছাত্র। গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন সোহেল রানা সাফির হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন।

সুইড বাংলাদেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আম্বিয়া খাতুন মিলি জানান, একই বিদ্যালয়ের তিন জন শিশুর বিভিন্ন ধরনের ছবি পাঠানো হয়েছিল। ডিপিওডি নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনে ছবিগুলো পাঠিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা হয়। দুই মাস আগে অংশ নেয়া প্রতিযোগিতায় সাফির আঁকা গ্রামীণ দৃশ্যের ছবিটি মনোনীত হয় এবং সাফি তথা বাংলাদেশ তৃতীয় হয়। কয়েকদিন পর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পুরস্কার ও সনদপত্র বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তিনি আরো বলেন, ৬০ দেশের অংশগ্রহণে হওয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করা একটি বড় সাফল্য। এই পুরস্কার একদিকে যেমন আমাদের ও অভিভাবকদেরকে উৎসাহ দিবে তেমনি বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে আরো উজ্জ্বলভাবে উপস্থাপন করবে। আগামীতেও এই সাফল্য ধরে রেখে আরো ভালো করার প্রতি আগ্রহ জোগাবে এই অর্জন।

অটিজম শিশু সোহেল রানা সাফির বাবা মাইনুল ইসলাম পেশায় ফলের দোকানদার। মাইনুল ইসলাম ছেলের সাফল্যের বিষয়ে বলেন, সাফি মূলত অটিজম শিশু। ঠিকমতো চলফেরাও করতে পারে না। বাড়িতে অবসর সময়ে বিভিন্ন ছবি আঁকতে ভালোবাসে। এভাবে ছবি আঁকতে আঁকতে সে এখন খুব ভালো পারদর্শী হয়ে গেছে। পরে স্কুলের ম্যাডাম একটি প্রতিযোগিতার কথা বললে সে একটি গ্রামীণ জনপদের ছবি এঁকে দেয়। পরে এই ছবিটিই দক্ষিণ কোরিয়ায় পুরস্কার পেয়েছে। তিনি আরো জানান, এই সাফল্যে আমি ও আমার পরিবার অত্যান্ত আনন্দিত। কোন প্রতিবন্ধকতায় যে সাফল্য আনতে বাধা হতে পারে না, সাফির এই সাফল্যই তার প্রমাণ। তবে সরকারের সহযোগিতা পেলে আরো বড় সাফল্য অর্জন সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

পুরস্কার প্রদানের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিপিওডি’র চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা। এবিষয়ে মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সংগঠন ডিজঅ্যাবল্ড পিপলস ইন্টারন্যাশনাল (ডিপিআই) সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৬০টি দেশের বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধীদের আঁকা ছবি প্রদর্শন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত