২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি ❑ রবিবার

বঙ্গবন্ধু বারে বারে ফিরে আসেন

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

রুহুল ইসলাম টিপু:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। রাজনৈতিক ইতিহাসের মহানায়ক। বঙ্গবন্ধু বাংলা-বাঙালি-বাংলাদেশ এক সূত্রে গাথা স্থাপিত বিশ^ সর্বজনীন সংস্কৃতির চেতনা। বঙ্গবন্ধু পুনরুদ্ধার করেন দুই শত বছরের বাংলার হারানো স্বাধীনতা। বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র নতুন দেশ ও জাতি। স্বাধীন বাংলাদেশ। একটি রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই স্বাধীনতা অর্জিত। স্বাধীনতা একটি সশস্ত্র বিপ্লবের প্রসূন। সংগ্রামে নেতা, বিপ্লবে নেতৃত্ব। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও আমরা পেয়েছি নেতা এবং নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই হলেন আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্যারামাউন্ট লিডার। বাঙালি জাতির মহান নেতা। তাঁর বিশাল নেতৃত্বেই অর্জিত বাংলাদেশ। লাল সবুজ পতাকা। একটি মানচিত্র। তিনি আমাদের প্রাণের মানুষ। ভালোবাসার মানুষ। বঙ্গবন্ধুর স্থান আপামর মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়। বাঙালি’র মনন ধ্যান চিন্তা এবং চেতনায়।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ মার্চ ১৯২০ সালে তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানে জেলা) টঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ হতে আমরা মুজিব শতবর্ষ উদযাপন করি। ২০২১ এ বাংলাদেশ উদযাপন করে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী। শান্তি ও মানবিক কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু’র অসামান্য অবদানের কথা বিশ্ব ব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশের সম্মুখে সেই অভীষ্ট। এখন আমরা বিশ্বমূখী নই। বিশ্বই বাংলাদেশ মূখী। এর ভিত্তি বিনির্মাণ করে দিয়েছেন আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বাবা ছিলেন শেখ লুৎফর রহমান এবং মা সায়েরা খাতুন। গ্রেফতার কারাগার কষনওতিনি এড়িয়ে যেতেন না। ১৯৩৮ সালে বঙ্গবন্ধু প্রথম গ্রেফতার হন। বয়স মাত্র ১৮। হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্ব এক বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে মামলায় পড়েন। পুলিশ ডাকা হয়। মামলা করা হয়। তিনি পালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু পালান নি। শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘যাব না, আমি পালাব, লোকে বলবে আমি ভয় পেয়েছি।’ পালাননি তিনি। কারণ তাঁর বিশ্বাস ছিল। তিনি সত্যের পক্ষে আছেন। কথাগুলো উঠে আসে ০৭ আগষ্ট ২০২১ এ আজকের পত্রিকায় জাহীদ রেজা নূর এর লেখা হতে। গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় ১৯৩৯ সালে ঘনিষ্ট সান্নিধ্য লাভ করেন তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মূখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের সাথে। অন্যজন হলেন পরবর্তীতে বাংলার ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। শুরু হলো বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন। দেশের কল্যাণে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি ত্যাগ এবং রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়াচীন বিশ্বের বিরল সংকলন। বঙ্গবন্ধুকে নিবিড়ভাবে জানার সুযোগ সৃষ্টি করে তাঁর লেখা বই তিনটি। কারাগারের রোজনামচা সংকলনে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ চোখের পানিতে ভেসে ভেসে প্রকাশনা সম্পন্ন করেন। পাঠক হিসেবে আমরা কারাগারের রোজনামচা পড়ে চোখের পানি সংবরণ করতে পারি না। বঙ্গবন্ধু জেল কারাগার মৃত্যু ভয় পরোয়া করতেন না। তিনি রাজনীতি করতেন দেশ এবং মানুষের কল্যাণে। তাঁর রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশকে ছাড়িয়ে বিশ্ব দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত।

রাজনীতিতে ক্ষমতা এবং ক্ষমতার বাইরে কোনকালেই তিনি আয়েশে জীবনযাপন করেননি। তিনি মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ছিলেন। জীবনের বড় অংশ কেটেশে জেল কারাগারে। ২৩ বছরের পাকিস্তান শাসনামলে ১২ বছর তিনি জেল খেটেছেন। দলের কাজে অধিক মনোনিবেশ করার জন্য মন্ত্রীত্ব পর্যন্ত ছেড়ে দেন। বর্ণাঢ্য এক রাজনৈতিক জীবন তাঁর। পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এরূপ দৃষ্টান্ত বিরল। পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বাঁচানোর জন্য ’৭১ এর ১২ আগষ্ট বিশ্বের বৃহৎ শক্তিগুলোর কাছে আবেদন জানান বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু’র বিচার করার আইনগত, সাংবিধানিক বা অন্য কোনো অধিকার প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নেই। শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শান্তির জন্যই বঙ্গবন্ধু’কে বাঁচানো দরকার।’ জাতিসংঘের একজন মূখপাত্র এই দিন নিউইয়র্কে বলেন, ‘শেখ মুজিবের বিচার সম্পর্কে উ থান্ট নেপথ্যে কুটনৈতিক আলোচনা চালাচ্ছেন।’ মূখপাত্র বলেন, ‘ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সমর সেন ১১ আগষ্ট রাতে উ থান্টের হাতে শেখ মুজিবের বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির একটি পত্র দিয়েছেন।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বলেন,‘শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক সরকার কোন ব্যবস্থা নিলে তার প্রতিক্রিয়া শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই হবে। তাঁর নিরাপত্তার জন্য ভারত বিশে^র অনেকগুলো দেশকে অনুরোধ করেছে। কয়েকটি দেশ কাজও করছে।’ এটি প্রথম আলো’তে ১২ আগষ্ট ২০২১ এ উঠে আসে ‘মুক্তিযুদ্ধে এই দিনে’ শিরোনামে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলবো, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। জয় বাংলা।’

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু’র মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তিনি নিহত হয়েছেন ষড়যন্ত্রকারীদের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা একদল নিষ্ঠুর ঘাতকের হাতে। ১৫ আগষ্ট ট্র্যাজেডি হচ্ছে বাঙালি জাতির পিতাসহ পরিবারবর্গের প্রায় সকলকে চিরতরে হারানোর বেদনা। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক আমাদের মহান নেতাকে হত্যা করা হয়। জাতির পিতা’কে হারানোর মধ্য দিয়ে আমরা হারিয়ে ফেলি জাতীয় আদর্শ। দেশের আদর্শিকতা হারানোর ট্যাজেডি। এই বিশাল শোক সইবার শক্তি অর্জনের মাধ্যমেই ঘটাতে হবে পুনর্জাগরণ। কে বলে বঙ্গবন্ধু নেই। বঙ্গবন্ধু বারে বারে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধু অমর, অজর, অবিনাশী। ঘৃণ্য ঘাতকের কটি তপ্ত বুলেট তাঁর নশ্বর দেহকে শেষ করে দিতে পারে। বঙ্গবন্ধুর কীর্তি সে তো অবিনশ^র। তাঁর আদর্শ অহ্বান। তাঁর নবজাগরণ অনিবার্য। সেই জাগরণের জোয়ারে প্লাবন সৃষ্টি হতে পারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক মানস বিনির্মাণের প্রেরণাপুরুষ। রাজনৈতিক ভাবাদর্শে দেশপ্রেম, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রেরণা আমরা পাই বঙ্গবন্ধুর নিকট হতে। বঙ্গবন্ধু’ই বিভক্ত সমাজ ও রাজনীতি উপদ্রুত বাংলাদেশে ঐক্য এবং বিশ্ব শান্তির প্রতীক। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন স্বত্বা। বঙ্গবন্ধু’কে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তা করা সেতো দুস্বপ্ন দুর্ভাবনা।

আজকের দিন শোক এবং মাতমের দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাঙালি জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরতম নিষ্ঠুর নৃশংস হত্যাকান্ড। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরো যাদের ঘাতকরা সেদিন হত্যা করেছিল তারা হলেন- বঙ্গবন্ধু’র সহধর্মিনী মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধু’র জ্যেষ্ঠপুত্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, পুত্র লে. শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধু’র ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও তাঁর কন্যা বেবী সেরনিয়াবাত, বঙ্গবন্ধু’র ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন্ত:সত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধু’র সামরিক সচিব কর্ণেল জামিল আহমেদ এবং ১৪ বছরের কিশোর আবদুল নঈম খান রিন্টুসহ ১৬ জন। বিদেশে অবস্থান করার কারণে তাঁর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান।

বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া সত্ত্বেও তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার প্রশ্নটিকে গুরুত্ব দেননি। দেশের কোন মানুষ তাঁর কোনও ক্ষতি করবে। এ ছিল তাঁর চিন্তার বাইরে। এই আস্থা যে ভিত্তিহীন ছিল; প্রাণ দিয়ে তিনি তা প্রমাণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবর্গের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যা ঘটনার বিচার কার্য সম্পন্ন করেছেন। পাঁচ ঘাতকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। ঘাতকদের একজন বিদেশে পলাতক অবস্থায় মারা গেছে। ছয়জন বিদেশে পলাতক রয়েছে। ৩৪ বছর পর হত্যাকান্ডের বিচার বাস্তবায়িত হয় ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি।

বিজ্ঞাপন

১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালের ট্র্যাজেডির সাথে একই বছর ০৩ নভেম্বর মহান চার নেতা মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং মন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এম মনসুর আলী’কে নির্মমভাবে কারাগারে হত্যা করা হয়। তাঁদের প্রতিও জাতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে। আমাদের সর্বময় শ্রদ্ধার ৩০ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশ স্মরণ করে ৪ লক্ষ মা বোন’কে যারা মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারিয়েছেন। ১৫ আগষ্ট এর শোকগাথা কোটি মানুষ একত্রে চোখের জল দিয়েও আমরা রক্তের ঋণ শোধ করতে পারবো না। তাই আমাদের এশটিই লক্ষ্য বঙ্গবন্ধু এবং মহান নেতাদের আদর্শের বাংলাদেশকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বর্তমান সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখা হাসিনা দৃঢ় হস্তে নেতৃত্ব দিয়ে সম্মুখপানে দেশ নিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ব পরিমন্ডলকে উপহার দিচ্ছেন সাফল্যের বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। জাতির জীবনে ১৫ আগষ্ট এক কলঙ্কময় দিন। এ দিবসটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে বাঙালি জাতি পালন করে। বাংলাদেশ এ মুহূর্তে শোকাহত। আমরা শোককে শাক্তিতে রূপ দিতে চাই। জেগে উঠতে চাই বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ বাস্তবায়নের অংশীদার হয়ে। আমাদের বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ একটি বিস্ময়কর দেশ। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করি।

বঙ্গবন্ধু বারে বারে ফিরে আসেন। মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকুন পৃথিবীর বুকে চিরকাল। অমর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

কলাম লেখক ও উন্নয়ন কর্মী

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত