মহিলা আ.লীগের রাজনীতিতে ছিলেন সক্রিয়, এখানো বহাল তবিয়তে শিক্ষা কর্মকর্তা

ক্ষমতার দাপটে সরকারি চাকরিবিধি উপেক্ষা করে পাবনায় মহিলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাঈদা শবনম। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও অফিসের কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা জানান, সাঈদা শবনম ক্ষমতার দাপটে উপজেলা শিক্ষা অফিসে লাগামহীন আধিপত্য গড়ে তুলে ছিলেন। খোদ শিক্ষা কর্মকর্তারাও টুঁ-শব্দ করার সাহস পেতেন না। শিক্ষা অফিসে স্বামীর ঠিকাদারি কাজে প্রভাব বিস্তার করতেন। বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের বাছাইয়ে অঘোষিত সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করতেন। সম্প্রতি জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকদের জাতীয় পদক প্রতিযোগিতায় অনুকূল পরিবেশ না থাকায় যোগদানও করতে পারেননি। আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে হুমকি দিয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষকদের নানা ভয়ভীতিও দেখাচ্ছেন। চাকরির শুরুতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় যোগদান করলেও সেখান থেকে বদলি হয়ে নাটোরের নলডাঙ্গায় বদলি হয়ে আসেন। তার মাত্র কয়েকদিন পর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একজনকে বদলি করে নিজ জেলা পাবনা সদরে বদলি হয়ে আসেন।
তবে নিজের ভুল স্বীকার করে অভিযুক্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাঈদা শবনম বলেন, ‘আমার ননদ যেহেতু রাজনীতি করে, সেহেতু গিয়েছিলাম। কিন্তু এটা (রাজনীতিতে অংশগ্রহণ) সরকারি চাকরিবিধির মধ্যে পড়ে না, এটা আমার ভুল ছিল। কিন্তু আপনারা এই বিষয়টি একটু দেখবেন, ইয়ে কইরেন না ভাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে ভবিষ্যতের খুব বেশি সতর্ক থাকব।’
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীর বলেন, ‘আমি তো নতুন। তার রাজনীতির বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগও দেয়নি। এখন দেখি চিন্তা-ভাবনা করে কী করা যায়। আগে বিষয়টা জানি, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে কীভাবে কী করা যায়।’