আগামীর বাংলাদেশ এবং তারেক রহমান বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও প্রজ্ঞা তারেক রহমানকে মহান করে তুলছে: ব্যারিস্টার সালাম

প্রকাশঃ Jul 13, 2025 - 10:52
আগামীর বাংলাদেশ এবং তারেক রহমান বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও প্রজ্ঞা তারেক রহমানকে মহান করে তুলছে: ব্যারিস্টার সালাম

আবদুর রাজ্জাক, সিলেট ব্যুরো


কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর উপদষ্টো
ব্যারিস্টার এম এ সালাম বলেছেন যে, গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের পতাকাবাহী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত থাকা সত্ত্বেও তার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব দিয়ে একটি চিহ্ন রেখে গেছেন। তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে
বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে দৃঢ় হাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দীর্ঘ আন্দোলন এবং দেশের জনগণের প্রতি তার ভালোবাসার প্রতি তার অটল বিশ্বাস
তাকে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
শনিবার বিকেলে সিলেট শহরের একটি স্থানীয় হোটেলে তার উদ্যোগে সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে জুলাই অভ্যুত্থান:
আগামীর বাংলাদেশ এবং তারেক রহমান শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার এম এ সালাম এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ ফ্যাসিবাদী ও ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে
পড়েছিল এবং তাকে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছিল। তারেক রহমানের জ্বালাময়ী বক্তৃতা থেকে ঐতিহাসিকভাবে
গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্লোগান উঠে আসে। উদাহরণস্বরূপ, "বাংলাদেশ ফিরিয়ে নাও, যদি ভয় পাও, তাহলে তুমি শেষ, যদি
উঠে দাঁড়াও, তাহলে তুমি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কোন পথে যাবে তা সিদ্ধান্ত রাস্তায় নেওয়া হবে। পরিশেষে,এক দফা, এক
দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এই স্লোগান অবশেষে দেশের কোণাকোণায় আন্দোলনের আগুণ ছড়িয়ে দেয়।
ব্যারিস্টার সালাম বলেন, ;দীর্ঘ সংগ্রামের পর জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারেক রহমানের নেতৃত্ব দেশ এবং এর সকল
জনগণকে ফ্যাসিবাদ এবং খুনি হাসিনার কবল থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করেছে। এই আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত
হয়েছেন তাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল স্মরণ করবে। তাই, গুম, খুন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের
তালিকা প্রস্তুত করা সময়ের দাবি। আমাদের দ্রুত বিচার এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের অবশ্যই
প্রতিটি পরিবারের মর্যাদাপূর্ণ পুনর্বাসন এবং নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী নেতা তারেক রহমান আগামীর বাংলাদেশকে দেখতে চান ‘মানবিক, বৈষম্যহীন
ও নিরাপদ বাংলাদেশ’ হিসেবে। তিনি রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের জন্য প্রণীত ৩১ দফা রূপরেখার মাধ্যমে এর পূর্ণাঙ্গ ও
পরিশীলিত বর্ণনা দিয়েছেন। এই ৩১ দফা রূপরেখা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষিত ১৯ দফা, দেশনেত্রী বেগম
খালেদা জিয়া ঘোষিত বিএনপি’র ভিশন-২০৩০ এবং তারেক রহমান ঘোষিত ২৭ দফা কর্মসূচীর আলোকে যুগপৎ আন্দোলনে
শরীক সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংশোধিত ও সম্প্রসারিত রূপে প্রণীত। মহান নেতা তারেক রহমান
আগামীর বাংলাদেশ এমন দেখতে চান যেখানে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। প্রত্যেকটি মানুষের রোজগারের ব্যবস্থা হবে,

তার ও পরিবারেরর আর্থ সামাজিক নিরাপত্তা এবং সঞ্চয় নিশ্চিত হবে। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রতিটি নারী ও পুরুষের
বেকারত্ব সমস্যা ঘুচবে। নারীদের সম্মান, স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। সব মানুষের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
দেশের সন্তানদের আধুনিক শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ এর শিক্ষা নিশ্চিত হবে। মানুষ কাংখিত স্বাস্থ্যসেবা পাবে। বাজারে
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল থাকবে। কৃষক, শ্রমিক এবং সব কর্মজীবী মানুষের ন্যায্য ও প্রাপ্য মজুরি
নিশ্চিত হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী এবং তাহসিনা
রুশদির লুনা। এছাড়াও, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সম্পাদক অধ্যাপক
মামুন আকবর চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাদার পরিষদ সিলেটের আহ্বায়ক ড. শামিমুর রহমান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক এবং সিলেট প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন
সভাপতি মুক্তাবিস-উন-নূর।