কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় নিহত ২

প্রকাশঃ Jul 10, 2025 - 15:12
কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় নিহত ২

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে দুই জন নিহত হয়েছে ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি একথা জানিয়েছে। ইউক্রেনের ওপর এটি ছিল মস্কোর এত দিনের মধ্যে দ্বিতীয় বড় ধরনের হামলা। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ যখন মালয়েশিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই এ হামলা চালানো হয়। কিয়েভে থাকা এএফপি সাংবাদিকরা রাতভর শহরের প্রচণ্ড বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান এবং আকাশে আলো ছড়িয়ে পড়তে দেখেন। কিয়েভ অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান মাইকোলা কালাশনিক টেলিগ্রামে লিখেছেন, কিয়েভ অঞ্চলে শত্রুর রাতের বেলা এই ভয়াবহ আক্রমণ প্রায় ১০ ঘন্টা স্থায়ী হয়েছিল। রাজধানীর সামরিক প্রশাসনের প্রধান টাইমুর তাকাচেঙ্কো বলেন, রাশিয়ার হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন।  তিনি এর আগে বলেছিলেন যে, এই হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছেন। এএফপির এক প্রতিবেদক জানিয়েছেন, রাজধানীর বেশ কয়েকজন বাসিন্দা রাতভর কেন্দ্রীয় একটি মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা মাদুরের ওপর ঘুমিয়েছিলেন, পোষা প্রাণীদের শান্ত করেছিলেন এবং ক্যাম্পিং আসবাবপত্রের ওপর আক্রমণের অপেক্ষা করেছিলেন।

কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসন ‘শত্রুর ব্যালিস্টিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি’ সম্পর্কে সতর্ক করেছিল এবং ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছিল যে, ‘একদল ক্ষেপণাস্ত্র’ পূর্ব দিক থেকে কিয়েভের দিকে এগিয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনের বিমান সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন যে, ধ্বংসাবশেষ পড়ে যাওয়ার ফলে রাজধানী সোলোমিয়ানস্কি এবং শেভচেনকিভস্কি জেলার ভবনগুলোতে আগুন লেগেছে। ডার্নিটস্কির আরেকটি জেলায়, ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে গ্যারেজ এবং একটি গ্যাস স্টেশনে আগুন লেগেছে। অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের মতে, দক্ষিণ খেরসনে রাশিয়ার হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। মস্কো তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে ইউক্রেনে কমপক্ষে একজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করার একদিন পর সর্বশেষ রাশিয়ান আক্রমণটি করা হয়েছে। রাশিয়ার রেকর্ড আক্রমণের ফলে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এই বছর রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে দুই দফা সরাসরি আলোচনায় বন্দী বিনিময় বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার বিষয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। ওয়াশিংটনের শীর্ষ কূটনীতিক রুবিও কুয়ালালামপুরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান নেশনস অ্যাসোসিয়েশন (আসিয়ান) এর বৈঠকের ফাঁকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।