মৌসুমের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গে ধরা পড়লো ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

মৌসুমের শুরুতেই জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। মূলত গভীর সমুদ্র থেকে ট্রলার ভরে ইলিশ মাছ নিয়ে জেলেরা ফিরেছেন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার, নামখানা বন্দরে। ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার নিয়ে এরই বন্দরে এসেছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। প্রতি ট্রলারে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ ক্রেট ভর্তি রুপালি ইলিশ রয়েছে।
চলতি বছরের মৌসুমের শুরুতেই ২৫ থেকে ৩০ টন ইলিশ ধরা পড়েছে। এসব ইলিশের গড় ওজন ৫০০ থেকে ৬০০/৬৫০ গ্ৰাম। আবার বেশ কিছু ট্রলারে ৮০০ থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে মৌসুমের শুরুতেই ভালো ইলিশ পাওয়া মৎস্যজীবীরা আশা করছেন আগামী কয়েকদিনে ভালো পরিমান ইলিশ পড়বে এবং তা বড় সাইজের হবে।
মৎস্য আড়ত সমিতির সম্পাদক জগন্নাথ সরকার বলেন, আমাদের দুমাস মাছ ধারার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। গত ১৪ জুন নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। এরপরেই জেলেরা ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল। আমাদের কাছে খবর এসেছে বেশ কিছু ট্রলার নামখানা বন্দরে ফিরেছে।জগন্নাথ সরকার আরও বলেন, প্রত্যেক ট্রলারে ৪০ থেকে ৫০ মন ইলিশ ধরা পড়েছে। বাদবাকি অন্য সব সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়েছে। মৌসুমির শুরুতে যেভাবে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তাতে আমরা আশা করছি পরে আরও ভালো ইলিশ পাওয়া যাবে।
জগন্নাথ সরকারী আরও বলেন, মৌসুমের শুরুতেই ধরা পড়া ৫০০-৬০০ গ্ৰামের ইলিশের দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ রুপি আর ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০ থেকে ২০০০ রুপি দাম পড়বে। যেহেতু এটা মৌসুমের শুরুর ইলিশ তাই দাম একটু বেশি থাকবে। এরপর ইলিশের যোগান যত বাড়বে দাম তত কমতে থাকবে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরেই ইলিশ মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেন পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জসহ সুন্দরবন এলাকার বেশ কিছু জায়গা থেকে কয়েক হাজার মৎস্যজীবী ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরতে গেছেন।
বেশ কয়েক বছর ধরে সেভাবে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছিল না। কিন্তু চলতি বছরের মৌসুমের শুরুতেই মৎস্যজীবীদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় বেশ খুশি তারা। এবার ভারতীয় মহাকাশ প্রযুক্তি সংস্থা ইসরোর সহযোগিতার ফলে আগের তুলনায় চলতি বছরের শুরুতেই জেলেরা বেশি পরিমানে ইলিশ ধরতে সক্ষম হয়েছেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।মৌসুমের শুরুতে ইলিশ ধরা পড়ায় বেজায় খুশি মাছে ভাতে বাঙালি। দাম একটু বেশি হলেও বাঙালির পাতে পড়তে চলেছে রুপালি ইলিশ।