১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ❑ ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ❑ শনিবার

অর্থনৈতিক মন্দায় বিশ্ব; আমরা কতটা প্রস্তুত?

অনলাইন ডেস্ক, অধিকরণ ডট কম

অধিকরণ অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিজ্ঞাপন

অনামিকা রায়

দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব। এমন সতর্কবার্তা দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। বিগত দুই বছর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের আক্রমণে মুখ থুবড়ে পড়ে বিশ্ব অর্থনীতি। লাগাতার লকডাউনের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড একেবারে স্থবির হয়ে পড়ে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়ে। বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশের পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব যে অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়ে সেটা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আরম্ভ হয়।

বিজ্ঞাপন

রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান এই যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। আগামী বছর বিশ্বব্যাপী এ মন্দা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। মন্দার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হ্রাস পাবে, বিনিয়োগ কমে যাবে। এর প্রভাবে কর্মসংস্থানের গতিও কমবে, বাড়বে বেকারত্ব। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে। বিশ্ব বাণিজ্য হ্রাস পাবে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মানে অস্থিরতা অব্যাহত থাকবে। জ্বালানি সংকটের কারণে কৃষি উপকরণের দাম বাড়বে। এতে কৃষি উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় হুমকি হবে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষের সংখ্যা বাড়বে। সব মিলে বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় সার্বিকভাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার কমে যাবে। এমনই শঙ্কার কথা প্রকাশ পেয়েছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে। জাতিসংঘের সতর্কতা, ২০২৩ সালে চলতি বছরের ২.৫ শতাংশ থেকে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার কমে ২.২ শতাংশে দাঁড়াবে। আর পশ্চিমা নীতির কারণে ঋণের বোঝা বাড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে অন্তত ৪৬ দেশ।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ গত তিন বছরে একের পর এক বড় আঘাত এসেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যা চলছে এখনও। এ পরিস্থিতিতে উন্নত দেশগুলোর মুদ্রানীতি, বিপদে ফেলছে বাকি বিশ্বকে। এক দশকের মধ্যে সুদের সর্বনিম্ন হার, মূল্যস্ফীতি ঠেকানোর ব্যর্থতায় বিপর্যয়ের পথে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি। সম্ভাব্য এই মন্দায় মারাত্মক পরিণতি ভোগ করবে মূলত উঠতি বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আরম্ভ হলে বিশ্বব্যাপী পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে সকল ধরনের পণ্যের দামও বেড়ে যায় হুহু করে। ফলে করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত হয়। বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপ-আমেরিকাসহ প্রায় সব দেশে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পায়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। এতে অর্থের প্রবাহ কমে গিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়া আমেরিকা, ইউরোপ ও উন্নত দেশগুলো মুদ্রার মান ধরে রাখতে সুদের হার বাড়িয়েছে। এসব মিলে বড় অর্থনীতির দেশগুলোয় অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশের ওপর ছোট অর্থনীতির দেশগুলো নির্ভরশীল। তাইতো তাদের মন্দার প্রভাব ছোট অর্থনীতির দেশগুলোয় পড়েছে। আগামী অর্থবছরে মন্দার এ প্রকোপ আরও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশেও সব ধরনের পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে আমদানি নির্ভর সকল পণ্যের দাম হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কথা বলে সরকার দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। যার প্রভাব পড়েছে কৃষি থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল মাধ্যমেই। যুদ্ধের প্রভাবে প্রয়োজনীয় জ্বালানি আমদানি ব্যাহত হওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে দেশের বিদ্যুৎখাতে। সরকার ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য শিডিউল ভিত্তিক লোডশেডিং এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল সময়সীমা কমানো হয়েছে। তারপরও দেশের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। দিনকে দিন বিদ্যুৎক্ষেত্রের এই বিপর্যয় জনজীবনে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে। প্রয়োজনীয় গ্যাস আনতে না পারায় শীতের আগে লোডশেডিং পরিস্থিতি উন্নতির আশা নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও গ্যাস, জ্বালানি তেল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না বিধায় দেশের পাওয়ার প্লান্টগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অন্যান্য শিল্পমাধ্যমে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়াতে বিদ্যুতে গ্যাস কমিয়ে দেয়া হয়েছে। লোডের কারণে দিনের বেলা কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখতে হচ্ছে । আবার দিনে যেগুলো চালানো হচ্ছে সেগুলো রাতে বন্ধ রাখা হচ্ছে। এজন্য লোডশেডিংয়ের সময় একটু বড় হয়ে গেছে। কিন্তু বিদ্যুতের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন না থাকলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। যার প্রভাব রপ্তানি খাতসহ স্থানীয় বাজারেও পড়বে। অবশ্য এরই আমদানি ব্যয় কমিয়ে এনে রিজার্ভের উপর চাপ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা কতদিন চলবে তা বলা মুশকিল।

বিজ্ঞাপন

বিগত ১০ বছর ধরে দেশের বিদ্যুৎখাত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যা অর্থনৈতিক ভাবে দেশের উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব রেখেছে। যোগাযোগব্যবস্থার সহজীকরণের কারণে দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রয়োজনীয় পণ্য স্বল্প সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা যায়। এতে করে সময়ের পাশাপাশি পরিবহন খরচ অনেকটা কমে এসেছে। যা দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি সংকটের কারণে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করায় এর প্রভাব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারেও পড়েছে। পরিবহন খরচের দোহাই দিয়ে বাজারে সকল ধরনের পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এছাড়াও যেসব প্রয়োজনীয় পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো সেগুলো আমদানির উপরও যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। যার ফলে চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সকল পণ্য উচ্চমূল্যে ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন দেশের মানুষ। এতে করে দেশের নিম্নআয়ের মানুষ থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষসহ দেশের প্রান্তিক আয়ের মানুষের জীবনধারণ একেবারেই দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনতে পারছে না বলে অনেক পরিবার নানা ধরনের কৃচ্ছতা সাধন করে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমানে জীবনযাত্রার ব্যয় ভার এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে অনেক পরিবার তাদের সন্তানের লেখাপড়ার প্রয়োজনীয় খরচ কমাতে বাধ্য হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত, মানুষের জীবন ধারণের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু সেই তুলনায় তাদের আয়ের পরিমাণ বাড়েনি বরং পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে এইসব সাধারণ সাধারণ শ্রেণির মানুষগুলো নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

দেশে প্রতিবছরই কয়েক লাখ ছেলে-মেয়ে উচ্চশিক্ষা শেষ করে বেকারের খাতায় নাম লেখায়। বিগত দুই বছর করোনা মহামারীর প্রভাবে এই বেকারদের তালিকা আরও দীর্ঘ হয়েছে। সরকার দেশের বেকারত্ব দূর করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার পরও প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের অভাবে কয়েক লাখ উচ্চশিক্ষিত তরুণ তরুণী চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পেরে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে অনেক তরুণ-তরুণীর মৃত্যুর সংবাদও সংবাদমাধ্যমে এসেছে। চলমান ইউক্রেন রাশিয়ার এই যুদ্ধ বাংলাদেশের বেকার যুবক-যুবতীর জন্য এক ধরনের আতঙ্ক নিয়ে রয়েছে। যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে তার প্রভাব অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়বে এ আশঙ্কা তো রয়েছেই। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড যদি স্থবির হয়ে পড়ে তাহলে দেশের বেকারত্বের হার আরো বৃদ্ধি পাবে; যার নেতিবাচক প্রভাব দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে পড়বে। যেহেতু সহসাই চলমান এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না সেক্ষেত্রে দেশের বেকারত্বের হার যাতে না বাড়ে সেজন্য বিকল্প উপায় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। সেসময় লাখ লাখ মানুষ খাবারের অভাবে মৃত্যুবরণ করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বের সময়কাল থেকে বর্তমান সময় একেবারেই আলাদা। বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরনির্ভরশীলতা কমেছে অনেকাংশে। নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক দ্রব্যসামগ্রী এখন আর আমাদের অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয় না। দেশের প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ধান উৎপাদন হয় যা আমাদের দেশের চাহিদা অনেকাংশে মেটাতে পারে। মিঠাপানির মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে চতুর্থ স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও শাক সবজি থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যেই দেশে উৎপাদন করা হয়। এটা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। চলমান এই যুদ্ধ যদি বিশ্বকে মন্দার মধ্যে ফেলে আমরা অন্তত দুইবেলা দুমুঠো খাবারে ব্যবস্থা করতে পারবো এই নিশ্চয়তা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ বরাবরই কৃষি নির্ভরশীল দেশ। এক সময় আমাদের দেশের ৮০ ভাগ মানুষের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম ছিল কৃষিক্ষেত্র। দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষও তাদের কর্মক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। তাইতো এখন আর দেশের ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভর করে জীবন যাপন করে না। কিন্তু বর্তমানে অনেক শিক্ষিত তরুণ কৃষিকে তাদের কর্মক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে। পুকুরে মাছ চাষ, গরুর খামার, সবজি চাষ, হাঁস মুরগি পালন এমনকি ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রেও অনেক যুবকরা উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। এইসব উদ্যোক্তারা দেশের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একটা ভূমিকা রাখছেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যেই অর্থনীতিতে নানা প্রভাব পড়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে অনেটা। সামনে সংকট আরও বেশি হলে অর্থনীতির অবস্থা কেমন দাঁড়ায় তা নিয়ে তাই বেশ উদ্বেগ আছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের মানুষকে প্রতি ইঞ্চি জমিতে শস্য আবাদের পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে করে উৎপাদন বাড়িয়ে মানুষ সঞ্চয় করতে পারে। তিনি বারে বারেই বলে আসছেন এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না। বাড়ির আঙিনা, পুকুরপাড় থেকে শুরু করে আশেপাশের অনাবাদি জমিতে সবজি চাষসহ নানা ধরনের ফলমূলের গাছ লাগানোর ব্যাপারেও উৎসাহ দিয়ে আসছেন। বর্তমানে উদ্ভূত এই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য কৃষির বিকল্প হিসেবে অন্য কোন পথ আপাত দৃষ্টিতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো এখন আমাদের জন্য অনিবার্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যেকোন সংকটে নিজেদের দুর্বলতা খুজে পাওয়া যায়। আর সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে সম্ভাবনার জায়গাগুলো আবিষ্কার করতে হয় এবং সেটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হয়। আমাদের সরকার ও জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে উদ্ভুত এই বৈশ্বিক মন্দার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করে সামনের সময়কে জয় করতে হবে।

লেখক : সংস্কৃতিকর্মী

বিজ্ঞাপন

সংবাদটি শেয়ার করুন

নিউজলেটার সাবসক্রাইব

জনপ্রিয়

আপনার জন্য আরো কিছু সংবাদ
সম্পর্কিত