মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ
—আজিজুন নাহার আঁখি
চারদিকে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ
ধর্ষিতা নারীর আর্তনাদ আর বিলাপ
ছেলে হারা মায়ের করুণ সুরে কান্না
সারা বাংলা আতংকিত স্তব্ধ।
আর সব কিছু বিসর্জন দেয়ার পর
যখন বাংলা হলো স্বাধীন
তখন সবার মুখে ফুটলো হাসি
মুখে মুখে জয়ধ্বনি শব্দ।
হায়েনাদের ধারালো ছোবলে
ক্ষতবিক্ষত মুক্তিযুদ্ধাদের তনু মন
রাজাকারের অগ্রগামী সহায়তায়
পাকসেনারা লুণ্ঠিত করলো নারীর মান।
নিজের দেশের ক্ষতি করে
ভাবলো নিজেরা কতো বিত্তবান
নিজের ভাইকে গুলি করে
কেড়ে নিলে তাদের তাজা প্রাণ।
মুক্তিযুদ্ধ না করেও তারা এখন
পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়
স্বাধীন দেশে ভুয়া সনদ নিয়ে
পাচ্ছে তারা মুক্তিযোদ্ধার সম্মান।
দেশের জন্যে যুদ্ধ করলো যারা
কেউ রাখে না তাদের খবর
অনাহারে কাটছে মুক্তিযোদ্ধাদের দিন
সমাজে এখন পাচ্ছে তারা ধিক্কার আর অপমান।
তখন আমার হয়নি জন্ম
শুনেছি সব বাবার মুখে
দেশ মাতৃ কায় কতো যে বীর
প্রাণ দিয়েছে হাসিমুখে।
গর্বিত আমি এই ভূবনে
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে
তাইতো তাদের অবহেলায় কাঁদে প্রাণ
তাদেরকে শ্রদ্ধা আর সম্মানে ভরিয়ে দিতে চাই সুখে।