ক্ষমতায় গেলে সাকিব ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান কী হবে, জানালেন ফখরুল

পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি দেখতে শেরে বাংলায় উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলের এই শীর্ষ নেতাকে দেখেই ক্রিকেটপাড়ায় শুরু হয় নানান আলোচনা। কেন হঠাৎ শেরে বাংলায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক এই সদস্য, সেটি জানার কৌতূহল তৈরি হয় ভক্তদের মনেও।
রোববার ফখরুলকে গ্যালারিতে দেখে সংবাদের উপাদান খুঁজে পান সাংবাদিকরাও। কী বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব প্রশ্ন করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতেও খুব বেশি দেরি হয়নি গণমাধ্যমকর্মীদের। দেরি হওয়ার সুযোগই বা কোথায়? প্রতিদিনই তো তাদের সামনে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ক্রিকেটপাড়ায় বসে আলোচনার আসর।তাই ফখরুলকে দেখে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক ভাবনা, বিতর্কিত সাকিবের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানার এই তো মোক্ষম সুযোগ।
গেল অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন সাকিব। তাকে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছিল বিসিবিও।কিন্তু গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এই সংসদ সদস্যের ফেরার খবরে মিরপুরে স্টেডিয়ামের আশপাশে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয় ভ্ক্ত ও বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত সাকিব আর দেশে ফিরতে পারেননি, মাঝপথ থেকে ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে।এরপর আর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা হয়নি সাকিবের। সম্প্রতি তাকে আবারও জাতীয় ফেরানোর আলোচনা শুরু হলেও কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।উল্লেখ্য, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি শাসনামলে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিসিবির যে বোর্ড ছিল, তার নির্বাহী সদস্য ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।