গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বাধা দূর করতে কাজ করছেন মধ্যস্থতাকারীরা

প্রকাশঃ Jul 15, 2025 - 19:04
গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বাধা দূর করতে কাজ করছেন মধ্যস্থতাকারীরা

মধ্যস্থতাকারীরা গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বাধা দূর করতে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে ব্যবধান কমাতে কাজ করছেন। সোমবার দ্বিতীয় সপ্তাহে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জুড়ে ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।গাজা সিটি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।২১ মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির পর জিম্মিদের মুক্তি এবং ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাধা দেওয়ার জন্য উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করার পর কাতারে পরোক্ষ আলোচনা অচলাবস্থার মধ্যে পড়ে আছে বলে মনে হচ্ছে।একজন কর্মকর্তা সোমবার এ কথা বলেন। তিনি এএফপিকে বলেন, "আলোচনা বর্তমানে গাজার অভ্যন্তরে ইসরায়েলি বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাবিত মানচিত্রের উপর কেন্দ্রীভূত।"আলোচনা সম্পর্কে অবগত একজন কর্মকর্তা সোমবার জানিয়েছেন দোহায় আলোচনা ‘চলমান’ রয়েছে। তিনি এএফপিকে বলেন : ‘আলোচনা বর্তমানে গাজার অভ্যন্তরে ইসরাইলি বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাবিত মানচিত্রের ওপর কেন্দ্রীভূত।’নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি  জানায়, ‘মধ্যস্থতাকারীরা অবশিষ্ট ব্যবধান দূর করতে এবং আলোচনার গতি বজায় রাখার জন্য উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলো সক্রিয়ভাবে অনুসন্ধান করছেন’। 

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটিকে ধ্বংস করতে চান বলে অভিযোগ করেছে হামাস। হামাস টেলিগ্রামে এক বার্তায় লিখেছে, ‘নেতানিয়াহু একের পর এক আলোচনার পতন ঘটাতে দক্ষ এবং কোনও চুক্তিতে পৌঁছাতে অনিচ্ছুক’। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার গাজা  সিটি এবং এর আশেপাশে এবং দক্ষিণের খান ইউনিসে ইসরাইল হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছে।ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সৈন্যরা গাজা শহরের শুজাইয়া এবং জেইতুন এলাকায় হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ যোদ্বাদের ব্যবহৃত ‘ভবন এবং সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ ধ্বংস করেছে।ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেডস সোমবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, তাদের যোদ্ধারা শুজাইয়া শহরের কাছে একটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।পরে সোমবার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ১৯, ২০ এবং ২১ বছর বয়সী তিন সৈন্য ‘উত্তর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের সময় আহত হয়ে  সোমবার হাসপাতালে মারা যায়। একই ব্যাটালিয়নের আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানায় সেনাবাহিনী।