বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে বিমান বিধ্বস্তের কারণে হতাহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান, তানিম খান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির ও মো. ঈসা।
এর আগে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি ও ঢাকাসহ দেশের সব জনবহুল এলাকায় ত্রুটিপূর্ণ বিমান এবং যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।
অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন। রিটে বিমানবাহিনীর অধীনে ত্রুটিপূর্ণ বিমানের সংখ্যা কত এবং এদের রক্ষণাবেক্ষণের কী কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে, তা জানতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া মাইলস্টোন স্কুলের আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো, মাইলস্টোন স্কুলে আগুনে পুড়ে যাওয়া নিহত শিক্ষার্থীদের ৫ কোটি টাকা এবং আহত শিক্ষার্থীদের ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল, যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।
এ বিমান দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (মঙ্গলবার সকাল ৮টা) নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে এবং নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে অনেকে।