শেখ হাসিনা ও কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি ট্রাইব্যুনালের

প্রকাশঃ Jun 17, 2025 - 12:11
শেখ হাসিনা ও কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি ট্রাইব্যুনালের

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন, যা দেশের দুটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে তারা যদি আত্মসমর্পণ না করেন, তবে অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম চলবে।

এর আগে, সোমবার (১৬ জুন) ট্রাইব্যুনাল পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন। আগামী ২৪ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গত ১ জুন এই মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।

প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান তরফদার এবং মিজানুল ইসলাম ওইদিন আদালতে অভিযোগপত্র পড়ে শোনান, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

এর আগে, গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে দাবি করে, গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণহত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং নির্দেশদাতা ছিলেন শেখ হাসিনা। এই ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।

১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেয়, ২০ এপ্রিলের মধ্যে এই গণহত্যার তদন্ত শেষ করতে হবে। তদন্ত শেষে ১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়।

গত ১৭ ডিসেম্বর, অন্য একটি মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দ্রুত শেষ করতে ট্রাইব্যুনাল দুই মাস সময় বেঁধে দেয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো, পরিকল্পিত হত্যা ও দমন অভিযানের জন্য শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। আন্দোলন ঠেকাতে সরকারি বাহিনীর অভিযানে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয় বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।