আমির-সালমান প্রমাণ করেছেন, দুইভাবেই সফল হওয়া যায়

বলিউডের প্রভাবশালী দুই খানের বিষয়ে বলতে গিয়ে পরেশ একদিকে যেমন প্রশংসা করলেন সালমানের স্বতঃস্ফূর্ততার, তেমনই তুলে ধরলেন আমিরের নিখুঁত পরিকল্পনার স্টাইল।পরেশ রাওয়ালের কথায়— “শুট শুরু হওয়ার আগে নির্দিষ্ট দৃশ্যটা নিয়ে সালমান নিজের মনের কথা শোনে। তারপর সে ঠিক বুঝে যায়, কী করতে হবে। ক্যামেরার সামনে ওর একটা ম্যাজিক আছে। সালমানকে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয় না, কারণ সে দুরন্ত হাওয়ার মতো বয়ে যায়! আসে আর মুহূর্তেই উড়িয়ে নিয়ে যায়।”অন্যদিকে, আমির খান সম্পর্কে পরেশের পর্যবেক্ষণ— “আমির সবকিছুর গভীরে যায়, বিশদে বুঝে তারপর কাজটা করে। তাই ও একটু সময় নেয়।
কিন্তু ওর এই ছোট ছোট ডিটেইলিং-এর ফলেই অভিনীত চরিত্রগুলো এত নিখুঁত হয়।” পরেশ নিজেও এই দুই তারকার সঙ্গে বহুবার কাজ করেছেন। তার মতে—“আমির এবং সালমান - দু’জনের কাজের ধরন একেবারেই আলাদা, কিন্তু দুইভাবেই সফল হওয়া সম্ভব—এটা ওরা প্রমাণ করেছেনপ্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই অনুরাগী দের মন ভেঙে দিয়ে পারেশ জানিয়েছিলেন, তিনি আর ‘বাবুরাও গণপত্রাও আপটে’ চরিত্রে ফিরছেন না, ব্যক্তিগত ও সৃজনশীল মতভেদের কারণে। এ নিয়ে অক্ষয় কুমার পর্যন্ত আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন প্রোডাকশন শিডিউল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তহেরা ফেরি ৩-তে ফিরে এসেছেন পরেশ। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, পারেশ নিজেই এক পডকাস্টে জানালেন— “ছবিটা হতোই, শুধু একটু টিউনিং দরকার ছিল। প্রিয়দর্শন, অক্ষয়, সুনীল—আমরা বহু বছরের বন্ধু। শুধু নিজেদের একটু গুছিয়ে নেওয়া ছিল বাকি।
”ক্ষমা চেয়ে ‘বাবুরাও’ ওরফে পরেশ রাওয়াল ফিরছেন তার জনপ্রিয় চরিত্রে। এই খবর শুধু একটি কাস্টিং আপডেট নয়, বরং এক আবেগময় পুনর্মিলন, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন পরিচালক প্রিয়দর্শন ও তার তিনজন কালজয়ী কমেডি চরিত্র রাজু-শ্যাম-বাবুরাও।সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়দর্শন বলেন— “পরেশ আমাকে ফোন করে বলল, ‘স্যার, আমি সিনেমাটা করছি’। আমি তো শুনে হতবাক! ও বলল, ‘আমি আপনার প্রতি চিরকাল শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমরা একসঙ্গে ২৬টা ছবি করেছি। আমি ক্ষমা চাইছি...আমার কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল।’” প্রিয়দর্শন আরও জানান, অক্ষয়, সুনীল আর পরেশ একসঙ্গে বসে শান্তিপূর্ণভাবে সবকিছু মিটিয়ে নিয়েছেন।