অনেক প্রস্তাব পেয়েছি, তবু রাজি হইনি: হানিফ সংকেত

দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র উপস্থাপক হানিফ সংকেত বরাবরই নীতিনিষ্ঠ ও নির্লোভ অবস্থানে থেকেছেন। কখনো বিজ্ঞাপনে অংশ নেননি, কোনো পণ্যের সঙ্গে নিজের নাম বা কণ্ঠ জড়াননি। অথচ এবার সেই কণ্ঠই ব্যবহার করা হলো একটি ভুয়া বিজ্ঞাপনচিত্রে। তা-ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব।
নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি লেখেন, “প্রযুক্তির এই যুগে সুবিধার পাশাপাশি অপব্যবহারও বেড়েছে। এখন এমন এক সময়, যেখানে প্রযুক্তি দিয়ে প্রতারণাও সম্ভব। আমি লক্ষ্য করেছি, একটি প্রতারক চক্র ইত্যাদি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার ভঙ্গি ও আমার কণ্ঠ অনুকরণ করে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি ডায়াবেটিস বিষয়ক ভুয়া বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। কণ্ঠ শুনলেই বোঝা যায়, এটা আসল নয়— বিদেশি উচ্চারণে নকল কণ্ঠ।”
আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে হানিফ সংকেত লেখেন, “আমি কখনো কোনো বিজ্ঞাপনে অংশ নিইনি। অনেকবার প্রস্তাব পেয়েছি, তবুও রাজি হইনি। তাই কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন। এই প্রতারণার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এই প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়ে হানিফ সংকেত লেখেন, “শিল্প-সংস্কৃতিকে রক্ষায় এখনই এআই-এর অপব্যবহার ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি। ব্রিটেনের অনেক শিল্পী, সাহিত্যিক কপিরাইট আইন হালনাগাদের দাবি তুলেছেন। ডুয়া লিপা, এলটন জন, ডেভিড হেয়ার, কাজুও ইশিগুরোর মতো ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আমিও একমত।”সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর দৃষ্টিআকর্ষণ করে হানিফ সংকেত লেখেন, “এআই প্রযুক্তি যেন মানুষের অধিকার হরণ না করে, সেটা নিশ্চিত করতে সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর এখনই নীতিমালা করা উচিত।”