কারাগারে বসেই কঠোর আন্দোলনের ডাক দিলেন ইমরান খান

ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পাকিস্তান। এবারে কারাগারে বসেই সরকার পতনে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান। পবিত্র আশুরার পর দেশের সব নাগরিক ও নিজ রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের ফের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টের মাধ্যমে ইমরান খানের এই আন্দোলনের বার্তা দিয়েছে তার দল পিটিআই।
উল্লেখ্য, ইমরান খানের দল পিটিআইও ঘোষণা দিয়েছে, শিগগিরই আন্দোলন শুরু করবে তারা। আর এবার সরকারকে কঠিন জবাব দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছে দলটি।
ইমরানের বরাত দিয়ে তার দলের পোস্টে বলা হয়েছে, “ক্ষমতাসীন শেহবাজ শরিফ সরকার সংসদে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একটি ভুয়া সংসদের মাধ্যমে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী আনার আনুষ্ঠানিকতায় না গিয়ে প্রকাশ্যে রাজতন্ত্র ঘোষণা করাই ভালো হবে। কারণ, দেশে আজ যা আছে তা হলো সরাসরি একনায়কতন্ত্র, যা জোর করে দেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে ইমরানের এমন ঘোষণার পর পাকিস্তানজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছে পিটিআই। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আশুরা শেষেই তারা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করবে, তবে সরকার বাধা দিলে তার জবাব দেওয়ার প্রস্তুতিও থাকবে।
তবে ইমরান খান বলেছেন, “বর্তমান সরকারের দাসত্ব মেনে নেওয়ার চাইতে কারাগারের অন্ধকারেই থাকতে চান তিনি। তার কণ্ঠরোধের সব চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে তার বার্তা জনগণের কাছে না পৌঁছায়।”
তার ভাষ্য, “এক মাফিয়া গোষ্ঠী পুরো জাতিকে দাস করে রাখতে চায়। আমি অন্ধকার কারাগারে নির্জন কারাবাস সহ্য করতে ইচ্ছুক, কিন্তু আমি কখনই দাসত্ব মেনে নেব না।”
পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনিরেরও কঠোর সমালোচনা করেন ইমরান। বলেন, “যখন এক স্বৈরশাসক ক্ষমতায় আসে, তখন ভোটের প্রয়োজন হয় না, তারা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে শাসন করে।”
তিনি আরো বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে দেখা না করে আসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রমাণ করেছেন পাকিস্তানের আসল ক্ষমতা কার হাতে।”