বিমানে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান বিজিএমইএ’র

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)’র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান। তিনি বলেন, শিল্প প্রতিনিধিরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া, পোশাক শিল্পে কার্যক্রমের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দ্রুত নতুন চালানের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তিনি। আজ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান।
তিনি জানান, বিজিএমইএ বোর্ড গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং এই অগ্নিকাণ্ডকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছে।ইনামুল হক বলেন, এই দুর্যোগ দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে এনেছে, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ তৈরি পোশাক শিল্প এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিরূপণের জন্য বিজিএমইএ কাজ শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংগঠনটি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সদস্যদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা চাওয়া হয়েছে। দ্রুত তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়েছে।
সব তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের পর বিজিএমইএ খুব শিগগিরই একটি সমন্বয় সভা আহ্বান করবে বলেও জানান ইনামুল হক খান। এই সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন বলে জানান তিনি। শেষে বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ ও শিল্পকারখানাকে অগ্নি-নিরাপত্তা বিষয়ে আরও সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে চলমান শুষ্ক মৌসুমে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেক বেশি।