মাগুরায় প্রথমবারের মতো আঙ্গুর চাষে সফল জামাল মণ্ডল

প্রকাশঃ Jul 4, 2025 - 14:19
মাগুরায় প্রথমবারের মতো আঙ্গুর চাষে সফল জামাল মণ্ডল

 মাগুরার শালিখা উপজেলার ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নের পিপরুল গ্রামের জামিল মণ্ডল নামে এক কৃষক প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আঙ্গুর চাষ করে সফল হয়েছেন। বাংলাদেশে আঙ্গুর চাষ হয় না, অনেকেই শখের বশে বিভিন্ন জায়গা থেকে আঙ্গুর চাষে সফল হননি। জামাল মণ্ডল দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় কাজ করতেন। তার স্ত্রী সৌদি আরবে থাকতেন। বিদেশে কাজ করার পর এই দম্পতি তাদের গ্রামে ফিরে আসেন এবং ২০ দশমিক ৫ শতাংশ জমিতে আঙ্গুর বাগান স্থাপন করেন। তার বাগান এখন আঙ্গুরে ভরে গেছে। সেই আঙ্গুর বাতাসে দোল খাচ্ছে। প্রতিদিন, উৎসুক মানুষ জামাল মণ্ডলের গ্রামের বাড়িতে তার আঙ্গুর বাগান দেখতে ভিড় জমান। কেউ কেউ তার বাগান পরিদর্শন করছেন, আবার কেউ কেউ জামাল মণ্ডলের সাফল্যের গল্প শুনছেন। জামাল মণ্ডল এখন তার নিজের বাগানে আঙ্গুরের চারা উৎপাদন করছেন এবং বিক্রি করছেন। মাগুরার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ তার বাগানের চারা কিনে বাগান শুরু করার ইচ্ছা পোষন করছেন। 

উদ্যোক্তা জামাল মণ্ডল বলেন, সে এবং তার স্ত্রী বিদেশ থেকে এসে একটি আঙ্গুর বাগান শুরু করতে চেয়েছিলা। বিদেশে বিভিন্ন ফলের বাগান দেখে সে মুগ্ধ হয়েছে। তারা অত্যন্ত যত্ন সহকারে বিভিন্ন ফলের বাগান করে। তা দেখে জামাল মন্ডল একটি আঙ্গুর বাগান শুরু করার স্বপ্ন দেখে। আর সে ভারত থেকে ৬০টি আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করে এবং জমি প্রস্তুত করে  পাতলা করে আঙ্গুরের চারা রোপণ করে। আঙ্গুর চাষ করতে প্রথমে জমির মাটি ভাগ করে স্তূপ আকারে বিছানা তৈরি করতে হবে। তারপর বাঁশের ট্রেলি তৈরি করতে হবে। চারা বড় হয়ে গেলে বাঁশের লাঠির সাহায্যে গাছগুলিকে ট্রেলিতে তুলতে হবে। সারের ক্ষেত্রে জৈব সার ব্যবহার করা ভালো দেখা যায়, গাছগুলিতে ৩-৪ মাসের মধ্যে ফুল আসে। তারপর ৬ মাসের মধ্যে গাছগুলিতে ফল ধরা শুরু হয়। এ আঙ্গুর চাষে  প্রথমবারের মতো ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে। চলতি বছর, সে ২ লাখ টাকার ফল বিক্রি করার আশা করছে। সে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে  আঙ্গুর চাষ করার ইচ্ছা নিয়ে চাষ শুরু করে ইতিমধ্যেই তার বাগান থেকে আঙ্গুরের চারা উৎপাদন করে বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছে। মাগুরা সহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ চারা ক্রয়ের জন্য তার বাগানে আসছে।  সে প্রতিটি চারা ২শ' টাকা দামে বিক্রি করছে।

জামাল মণ্ডল আরও বলেন, তার ২০ শতকের জমিতে ২৫-৩০ মণ আঙ্গুর পাওয়ার আশা করছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক মহাজন ইতিমধ্যেই তার বাগানে আসছেন। তারা বাগানটি দেখছেন এবং পছন্দ হলে কিনে নিচ্ছেন।তার বাগান দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক আঙ্গুর বাগান শুরু করতে আগ্রহী। তার স্ত্রী তাকে এই কাজে সাহায্য করছেন। তার সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণায় সে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান। চাষাবাদে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে সে জানায়।