অর্থনীতি চাঙা করতে ২২.৫ বিলিয়ন ডলারের বাজেট চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

প্রকাশঃ Jun 26, 2025 - 15:53
অর্থনীতি চাঙা করতে ২২.৫ বিলিয়ন ডলারের বাজেট চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে ২২.৫ বিলিয়ন ডলারের (৩০.৫ ট্রিলিয়ন ওন) অতিরিক্ত বাজেট অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার, সংসদে নিজের প্রথম ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান।

সিউল থেকে এএফপি জানায়, লি জে মিয়ং চলতি মাসেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন যিনি অভিশংসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্থলাভিষিক্ত হন। ইউন সামরিক আইন জারির পর গত ডিসেম্বরে অভিশংসিত হন এবং তৎপরবর্তীতে জরুরি নির্বাচনের মাধ্যমে লি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

লি বলেন, রপ্তানিনির্ভর দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্কের কারণে চাপে রয়েছে। যদিও শুল্কটি আপাতত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে, উভয় দেশ জুলাইয়ের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছাতে চে’া করছে।

লি সংসদে বলেন, ‘অর্থনীতির ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়।’ তিনি জানান, জনগণের জীবনমান ফেরাতে এবং মন্দা কাটিয়ে উঠতে প্রস্তাবিত বাজেট দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

এই বাজেটের প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যয় হবে সার্বজনীন ভোগ্যপণ্য কুপনের জন্য, যেখানে প্রতিজন নাগরিক সর্বোচ্চ ৫২০,০০০ ওন (প্রায় ৩৮০ ডলার) পেতে পারেন।

লি আরও জানান, দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টানা চার প্রান্তিকে এক শতাংশের নিচে রয়েছে এবং চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত ব্যয় ও সরকারি খরচও কমেছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ১.৯ শতাংশ।

লি’র বাজেট প্রস্তাব সংসদে পাস হওয়ার ব্যাপারে আশা করা হচ্ছে, কারণ তাঁর দল—মধ্য-বামপন্থী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি—সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে।

উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি পূর্বশর্ত ছাড়াই পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখবেন। তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটি গঠনমূলক চক্র তৈরি করব, যেখানে শান্তি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নেবে এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি আবার শান্তিকে আরও দৃঢ় করবে।’

লি এমন এক সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, যখন দক্ষিণ কোরিয়া তার নিরাপত্তা অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র এবং বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার চীনের মধ্যে বাড়তে থাকা ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মুখোমুখি।