এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের এক ব্রিটিশ যাত্রী জীবিত উদ্ধার

আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহমেদাবাদের পুলিশ প্রধান জিএস মালিক।তবে, তারা সবাই বিমানের যাত্রী নাকি তাদের কেউ কেউ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।৪১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার তথ্যও জানিয়েছেন তিনি।তবে আশ্চর্যজনক ভাবে বিমানের এক যাত্রীকে জীবিত পাওয়া গেছে।ওই ব্যক্তি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।পুলিশ কমিশনার বলেছেন, বিশোয়াস কুমার রমেশ নামে ওই ব্রিটিশ নাগরিক বিমানটির ১১এ নম্বর আসনে বসেছিলেন।এদিকে মৃতদেহগুলো শনাক্ত করার প্রক্রিয়াও চালু হয়েছে আহমেদাবাদে।গুজরাত স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব ধনঞ্জয় দ্বিবেদী জানিয়েছেন, যেসব যাত্রীর দেহ শনাক্ত করার অবস্থায় নেই, তাদের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক আছে, এমন আত্মীয় অর্থাৎ বাবা-মা অথবা সন্তানের ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে সিভিল হাসপাতালে।
বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে এক কোটি রূপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিক প্রতিষ্ঠান টাটা গ্রুপ।আহতদের চিকিৎসার খরচও বহন করবে প্রতিষ্ঠানটি।এছাড়া, বিমান আছড়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মেডিকেল হোস্টেল পুননির্মাণে সহায়তা করবে তারা।সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, " আমরা কতটা শোকাহত তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।"আহমেদাবাদে ভেঙ্গে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির এক ব্রিটিশ যাত্রী জীবিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ১১এ নম্বর আসনে বসেছিলেন ওই যাত্রী এবং তিনি জীবিত আছেন।মি. মালিক এ-ও জানিয়েছেন যে ওই যাত্রী এখন হাসপাতালে, তার চিকিৎসা চলছে।বিমানের যাত্রীর যে তালিকা কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছেন, তা থেকে জানা যাচ্ছে যে, ওই ব্যক্তির নাম বিশোয়াস কুমার রমেশ এবং তিনি ব্রিটিশ নাগরিক।ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে যে, তারা হাসপাতালে মি. রমেশের সঙ্গে কথা বলেছে। তিনি সাংবাদিকদের নিজের প্লেনের বোর্ডিং পাসও দেখিয়েছেন। সেখানে তার নাম রয়েছে এবং আসন সংখ্যা উল্লেখ করা আছে ১১এ বলে।ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো তার বক্তব্য দেখাচ্ছে, যেখানে তিনি বলছেন, “আকাশে ওড়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ভীষণ জোরে আওয়াজ হয় আর বিমানটা ভেঙ্গে পড়ে। সব কিছু খুব কম সময়ের মধ্যেই ঘটে যায়।ভারতে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সহায়তা করতে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি তদন্ত দল।ভারতের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে।এছাড়া, একটি ব্রিটিশ দলকেও তদন্তে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত সংস্থা।