চমক দেখালো নারী ফুটবলাররা

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে রোববার চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। মিয়ানমারের ইয়াংগুনে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে বাহরাইনের বিপক্ষে। ১০ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে লিড নেওয়া বাংলাদেশ প্রথমার্ধে গোল করেছে পাঁচটি। দি¦তীয়ার্ধে দু’টি। তাতেই ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে।র্যাংঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে বাহরাইন। বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮তম। আর বাহরাইন রয়েছে ৯২তম স্থানে। এমন দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই জয় গর্বের।মাঝমাঠ শক্তিশালী করে দল সাজিয়েছিলেন পিটার বাটলার। বামদিকে ঋতুপর্ণা চাকমা, ডান দিকে শামসুন্নাহার জুনিয়র ও মাঝে তহুরা খাতুনকে দিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন কোচ।
তাতে পুরোপুরি সফল বাটলার।ম্যাচের ১০ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্স বরাবর দারুণ এক ক্রস করেন স্বপ্না রানি। গোলরক্ষক খুলুদ সালেহ আবদুল্লাহ গোল বাঁচাতে আসলে তাকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান শামসুন্নাহার। পাঁচ মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডের গোলটি ছিল দেখার মতো। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের অবিশ্বাস্য এক শটে গোলটি করেন তিনি। তার আগে দারুণ এক পাস দেন প্রথম গোলের সহায়তাকারি স্বপ্না।পুরো ম্যাচেই প্রতিপক্ষের ওপর আধিপত্য দেখানো বাংলাদেশ ২৪ মিনিটে আরেকটি গোল পেতে পারত।বাহরাইনের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হলেন মনিকা চাকমা। খুলুদের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করলেও বারের ওপর দিয়ে যায় বল।
৩২ মিনিটে অবশ্য তহুরা খাতুন গোল দিয়েছিলেন। অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হলেও পরে ঠিকই বিরতিতে যাওয়ার আগে জোড়া গোল করেছেন তিনি। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় ও চতুর্থ মিনিটে গোল করে ব্যবধান ৫-০ করেন তিনি। তার আগে ৪০ মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন কোহাতি কিসকু বিরতির পরেও দাপট ধরে রাখে বাংলাদেশ।
৪৭ মিনিটে তার ফল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শামসুন্নাহারকে দ্বিতীয় গোল পেতে দেননি বাহরাইনের গোলরক্ষক। বার থেকে সামনে বেরিয়ে এসে শেষ মুহূর্তে পা দিয়ে গোল সেভ করেন খুলুদ৬০ মিনিটে অবশ্য ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল বাহরাইন। তবে দারুণ এক সেভ দেন গোলরক্ষক রূপনা চাকমা। গোলবার থেকে বেরিয়ে এসে বল ধরে ফেলেন তিনি। বাহরাইন না পেলেও ফিরতি মিনিটে ঠিকই ষষ্ঠ গোল পায় বাংলাদেশ। গোলমুখ থেকে বল পাঠানোর বিরতিতে বাহরাইনের ডিফেন্ডার রাওয়ান নাবেল আল আলি জালের জড়িয়ে দেন৬৭ মিনিটে আরেকটি দুর্দান্ত সেভ করেন রূপনা। প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডের জোরালো শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে জাল অক্ষত রাখেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক। আর ৭৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে শেষ পেরেকটি মারেন মুনকি আক্তার। পরে আর কোনো গোল না হলে মায়ানমারে শুরু হওয়া বাছাই পর্ব জয় দিয়ে শুরু করল বাংলাদেশ।