চড়া মাছের বাজার, সবজিতে স্বস্তি

পবিত্র ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি প্রায় শেষ। ছুটির এই শেষবেলায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম থাকলেও পণ্যের দামে বেশ উত্তাপ ছড়াচ্ছে, বিশেষ করে মাছের বাজারে।পবিত্র ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি প্রায় শেষ। ছুটির এই শেষবেলায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম থাকলেও পণ্যের দামে বেশ উত্তাপ ছড়াচ্ছে, বিশেষ করে মাছের বাজারে।বিক্রেতারা বলছেন, একদিকে কোরবানির পর মাংসের প্রতি মানুষের অনীহা থাকায় মাছের চাহিদা বেড়েছে, অন্যদিকে ঈদের কারণে জেলে পর্যায় থেকেও মাছের জোগান কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে ঈদে বিবাহের অনুষ্ঠান বৃদ্ধি পেয়ে থাকে, সেখানে মাছ দরকার পড়ে। সেটাও একটি কারণ হতে পারে।রামপুরা ও মালিবাগবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রকার ভেদে কেজিতে মাছের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যান্ত। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকার ওপরে। সিলভার কার্প ও মৃগেল ২০০-২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়াও শিং ২৮০-৬০০, পাবদা ৩৫০-৪০০, মলা ৪৫০-৫৫০, কাচ্চি (গুঁড়া মাছ) ৬০০-৬৫০, শোল ৫০০-৭৫০, ট্যাংরা ৪৫০-৭৫০, একটু বড় চিংড়ি ৭৫০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গরিবের মাছ হিসেবে খ্যাত তেলাপিয়া ও পাঙাশেও বাড়তি দামের প্রভাব দেখা গেছে। তেলপিয়া ও পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর হাইব্রিড কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকা কেজি প্রতি।বাজারে বিভিন্ন মাছ নিয়ে বিক্রেতারা বসে থাকলেও ক্রেতা খুবই কম। মাছ কিনতে আসা মাহিন নামের একজন বললেন, কোরবানির ঈদের মাংসের স্বাদ এক ঘেয়েমি হয়ে গেছে। স্বাদ পরিবর্তনে মাছ কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু মাছের দাম চড়া মনে হচ্ছে। বেশি দামে মলা মাছ কিনলাম। মাছের সরবরাহও কম মনে হয়েছে।