নারী কর্মীদের খাটো হাতার পোশাক, লেগিংস

প্রকাশঃ Jul 24, 2025 - 09:05
নারী কর্মীদের খাটো হাতার পোশাক, লেগিংস

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন ড্রেসকোড বা পোশাকবিধি জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক এবং লেগিংস পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুরুষদের জন্যও নির্ধারণ করা হয়েছে নির্দিষ্ট পোশাকবিধি।বুধবার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ এ নির্দেশনা দিয়েছে। নতুন জারি করা নির্দেশনা না মানলে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে।নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পেশাদার ও শালীন পোশাক পরিধান করতে হবে।

নারী কর্মীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ওড়না ও অন্যান্য মার্জিত পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সাদামাটা রঙের হিজাব বা হেডস্কার্ফ এবং ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা পরার নির্দেশনা। শর্ট স্লিভ (ছোট হাতা) ও ছোট দৈর্ঘ্যের ড্রেস এবং লেগিংস পরিহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।পুরুষ কর্মীদের জন্য নির্ধারিত পোশাকের মধ্যে রয়েছে ফরমাল শার্ট (লম্বা বা হাফ হাতা), ফরমাল প্যান্ট এবং ফরমাল জুতা। পরিহার করতে বলা হয়েছে জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট।


বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ ২–এর (বেনিফিটস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন উইং) একটি বিভাগীয় মাসিক সভার এজেন্ডা ও কার্যবিবরণীতে নিয়মিত অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেসব সিদ্ধান্তের একটি ছিল পোশাক নিয়ে।গৃহীত সিদ্ধান্তের ১১ (ঘ) নম্বরে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সব স্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের (সি ও ডি শ্রেণিভুক্ত কর্মচারীদের নির্ধারিত পোশাক ব্যতীত) সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পেশাদার ও মার্জিত পোশাক পরিধান করতে হবে।

১১ ক্রমিক নম্বরে শুধু পোশাক নয়, কর্মচারীদের আচরণ এবং অফিস পরিবেশ সম্পর্কেও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।১১ (ক) নম্বরে নারী কর্মীদের প্রতি আচরণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ রেগুলেশন ২০০৩–এর ৩৯ ধারায় বর্ণিত নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। যৌন হয়রানিসংক্রান্ত অভিযোগগুলো ঘটনা ঘটার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মানবসম্পদ বিভাগ ১–এর নির্দিষ্ট পরিপত্রের মাধ্যমে গঠিত কমিটির কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।১১ (খ) নম্বরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিষয়ে মানবসম্পদ বিভাগ ২–এর অফিস নির্দেশ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।


১১ (গ) নম্বরে ইতিবাচক কর্মপরিবেশ তৈরি করার জন্য দাপ্তরিক শিষ্টাচার ও আচরণবিধি তথা সততা, নৈতিকতা, সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাবোধ, অর্পিত দায়িত্ব–কর্তব্য পালনে নিষ্ঠা ইত্যাদি, সহকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ ও আন্তরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক (পারস্পরিক সম্মান, সৌজন্যবোধ, সহযোগিতামূলক মনোভাব ইত্যাদি) মেনে চলতে বলা হয়েছে।গৃহীত সিদ্ধান্তের ১২ নম্বরে বলা হয়েছে, ১১ নম্বর ক্রমিকে দেওয়া নির্দেশনা পরিপালনের জন্য অফিস, বিভাগ, প্রকল্প, সেল, ইউনিটভিত্তিক পর্যবেক্ষণের জন্য একজন কর্মকর্তাকে মনোনয়ন দিতে হবে। ওই নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তদারকি করবেন মনোনীত কর্মকর্তা। এর ব্যত্যয় হলে বিভাগীয় প্রধানকে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীর বিরুদ্ধে নির্দেশনা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়ে অভিযোগ পাঠাবেন।