জাতিসংঘের ৮০ বছরে বাংলাদেশে ঐতিহাসিক মাইলফলক উদযাপন

জাতিসংঘের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিম। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার জাতিসংঘ ভবনে এ আয়োজন করা হয়। এসময় জাতিসংঘের বাংলাদেশ আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস উপস্থিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন।
এতেঅংশ নেন সরকারি ও রাজনৈতিক প্রতিনিধি, কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের সদস্য, সুশীল সমাজ, যুব প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের আট দশকের সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও উন্নয়নে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষভাবে স্মরণ করা হয় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের তরুণ নেতৃত্বকে।
বাংলাদেশের জনগণের পাশে থেকে আমরা সব সময় গর্বিত। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময়েও জাতিসংঘ উন্নয়ন সহযোগিতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
সরকারের পক্ষে রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খালিলুর রহমান বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের মানবিক ও উন্নয়ন খাতে যে ধারাবাহিক সহায়তা দিয়ে আসছে তা দেশের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে
অন্তর্বর্তী সরকার উপদেষ্টা ও ছাত্রনেতা মাহফুজ আলম জাতিসংঘের নীতিনিষ্ঠ অবস্থানের প্রশংসা করে বলেন, “জাতিসংঘ সবসময় বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ও আকাঙ্ক্ষাকে সর্বাগ্রে স্থান দিয়েছে—যা প্রকৃত আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত।
অনুষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং নবনিযুক্ত সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবকরা, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন।
‘UN80’ বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি একটি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জবাবদিহিমূলক বহুপাক্ষিক বিশ্বব্যবস্থার আহ্বান জানায়—যেখানে জাতিসংঘ আরও দক্ষ, গতি