দুর্বার গতিতে বাড়ছে প্রবৃদ্ধি,থেমে নেই ষড়যন্ত্র বাখ্যা দিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যখন দুর্বার গতিতে বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।ঠিক তখনই একটি মহল ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন।দেশের একমাত্র প্রধান বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর। বিশাল সাম্রাজ্যে গুটিকয়েক ভূল সমস্যা বা চুরির মতো ঘটনা ঘটতেই পারে।ফের তা দ্রুত সমধান করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।সম্প্রতি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে এক একসময় ভিন্ন ভিন্নভাবে
বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।বোমা বিস্ফোরণ সিনিয়র কর্মকর্তাদের মনে ভীতি সৃষ্টি করা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা ও অনিয়ম দুর্নীতি সংশ্লিষ্টতার মিথ্যা প্রচার এক প্রকার অস্থিরতা বিরাজ করছে চট্টগ্রাম বন্দরে।গত দুই তিনদিন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ভয়াবহ কন্টেইনার জট ও শিপিং এ্যাসোসিয়েশনের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব বৃদ্ধি খবরে সরগরম হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বন্দর।তবে বর্তমান আমদানি রপ্তানি কারকরা বলছেন,চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান যোগদানের পর থেকে বন্দরের সব ক্ষেত্রে গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আজ বৃহস্পতিবার ২১ আগষ্ট একটি
প্রেস নোটে উল্লেখ করেন,পুরাতন ৫৩,৫১৮ টিইউইএস(TEUs) এর সাথে সকল ইয়ার্ডের সম্প্রসারণের ফলে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর এর ধারণক্ষমতা প্রায় ৫৯,০০০ টিইউইএস(TEUs) এ উন্নীত হয়েছে।সাম্প্রতিককালে প্রায় ৪৭/৪৮ হাজার টিইউইএস(TEUs) কন্টেইনার সংরক্ষণ এবং সুচারুভাবে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে।পূর্বে গড়ে ১০টি কন্টেইনার জাহাজ হ্যান্ডলিং হতো সেখানে বর্তমানে ১২/১৩ টি পর্যন্ত কন্টেইনার জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে।এতে
আমদানি-রপ্তানিকারকগণ পূর্বের তুলনায় অনেক কম সময়ে তাদের পণ্য হাতে পাচ্ছেন এবং রপ্তানির লিড টাইম কমে যাচ্ছে।কন্টেইনার সংরক্ষণ প্রায়
৬২,০০০ টিইউইএস( TEUs) এ উন্নীত হবে আশা করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।এছাড়া ইয়ার্ডে সক্ষমতা যথেষ্ট হওয়ায় বর্তমানে রপ্তানিমুখী প্রায় ৬,০০০ টিইউইএস( TEUs)কন্টেইনার বন্দরের ইয়ার্ডে pre-stacking এর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিন সংকটের কারণে ঢাকা আইসিডিগামী কন্টেইনারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগের মাধ্যমে সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।তাছাড়া প্রায় ১০ হাজার নিলামযোগ্য কন্টেইনার নিলামের অপেক্ষায় রয়েছে। এই ১০ হাজার এবং ঢাকা আইসিডি’র ২ হাজার সহ প্রায় ১২ হাজার কন্টেইনার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী আছে।বর্তমানে বাহিঃনোঙ্গরে জাহাজের ওয়েটিং টাইম ২ দিনে নেমে এসেছে। অদ্য ২১ আগষ্ট ২৫ সালের বাহিনোঙ্গরে ৪টি কন্টেইনার জাহাজ এবং ১ টি জিআই জাহাজ বার্থিং এর অপেক্ষায় আছে। জাহাজের গড় অবস্থান কাল (টার্ন এরাউন্ড টাইম) বর্তমানে ২.৫৮ দিন ।