দক্ষিণখানে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টাঃ মামলা দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন থানা যুবদলের সাবেক জয়েন্ট সেক্রেটারি ও বর্তমান স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জনাব দেওয়ান ফরহাদ (৪০)কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টায় একটি মামলা দায়ের করেন আহতের ছোট ভাই রিফাত হোসেন (৩৫)। দেওয়ানফরাদ দক্ষিণ খানের পেয়ারা বাগান এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম আবুল হোসেন ও মায়ের নাম খায়রুন্নাহার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দেওয়ান ফরহাদ একজন ব্যবসায়ী ও বিএনপি'র নেতা। তিনি নিজের ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে সুনামের সহিত বসবাস করে আসছিল। কিন্তু ১৭-০৫-২০২৫ ইং আনুমানিক রাত ৯টা ৩০ মিনিটে পার্শ্ববর্তী এলাকার সিরাজ মিয়া (৫৮) তার দুই পুত্র সুজন ও ফরহাদসহ স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিতভাবে দেওয়ান ফরহাদের উপর হামলা চালায়। এতে দেওয়ান ফরহাদের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল, তর্জনী বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পিঠে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে ও মাথায় গুরুতর আঘাত করে।
দেওয়ান ফরহাদের ছোট ভাই রিফাত হোসেন বলেন- প্রতিবেশী আলফাজ মিয়া (৩৭) ও সিরাজ মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল চলে আসছিল। ঘটনার দিন মীমাংসার কথা বলে আমার ভাইকে সেখানে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু মীমাংসা না করে হঠাৎ তার গুন্ডা বাহিনীকে হুকুম প্রদান করে এলোপাতাড়ি কোপানোর জন্য। সিরাজ মিয়াসহ আর ছেলে সুজন, ফরহাদ ও স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ফরহাদ (৩০), রফিক (৩০), নীরব (২৮), নোমান (২৮), ফিরোজ (২৮) ও মুন্না (২৯) আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। এতে আমার ভাই গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। দ্রুত আমার ভাইকে স্থানীয় কেসি হাসপাতালে ভর্তি করাই। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থাকে পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে আমার ভাই পঙ্গু হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিনাতিপাত করছে।
এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে দেওয়ান ফরহাদ আহমেদ জানান, সিরাজ আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপাতে থাকে। এতে আমার দুটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, মাথায় প্রচুর আঘাত পাই। আমার পিঠে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। আমি একজন নিরীহ মানুষ। আমি এর প্রকৃত বিচার দাবি করছি।
দক্ষিনখান থানার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তাইফুল রহমান মির্জা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা নিয়মিত মামলার রুজু করেছি। মামলা নং- ১৪ (১৮-০৫-২০২৫ইং)। আসামি ধরার জোর প্রচেষ্টা চলছে।