রাজস্ব আদায় ও দ্রুত পণ্য খালাসকরণে এনবিআর চেয়ারম্যানের গুরুত্বারোপ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির পাশাপাশি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় দ্রুত পণ্য খালাসকরণ, নিবারণমূলক কার্যক্রম, আমদানি নীতি আদেশ প্রতিপালন, অটোমেশন, মামলা হ্রাসকরণসহ বকেয়া আদায় কার্যক্রম জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। গতকাল রাজধানীর কমলাপুরে ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) কাস্টমস হাউস পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব নির্দেশনা দেন।এনবিআর চেয়ারম্যান পরিদর্শনকালে কনটেইনার ইয়ার্ডে কাস্টমস কায়িক পরীক্ষণ কার্যক্রম, রপ্তানি কার্যক্রম এবং অ্যাসেসমেন্ট রুমে অটোমেটেড পদ্ধতিতে কাস্টমস অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এনবিআর আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
পরিদর্শনকালে তিনি অ্যাসেসমেন্ট রুমে বিভিন্ন শুল্কায়ন গ্রুপের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সাথে দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পাদনে কোন সীমাবদ্ধতা আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চান। এ সময় তিনি ইন্টারনেট সার্ভার সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে কাস্টমসের আইটি বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেন।পরিদর্শন শেষে কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।এসময় তিনি কাস্টম হাউস আইসিডি, কমলাপুরের কনটেইনার পরিবহন সংক্রান্ত অপর্যাপ্ত কার্গো ট্রেনের সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হন। সিএন্ডএফ লাইসেন্সিং বিধিমালা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।মতবিনিময় সভা শেষে তিনি অনলাইন ভিত্তিক ট্যাক্স প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।তিনি বলেন, কাস্টমস হাউসসমূহ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের কেন্দ্রবিন্দু।
আধুনিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় পণ্য দ্রুত খালাসকরণের মাধ্যমে ব্যবসায়িদের বাণিজ্য সহজীকরণের বিষয়ে তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।তিনি আশ্বস্ত করেন, যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সততা-দক্ষতা ও সচেষ্টতার সাথে দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন তাদের কোন ভয় নেই। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডার বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং কাস্টম হাউস আইসিডি নিরবিচ্ছিন্নভাবে বন্দরের কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করবে।