কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর ফুলতলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন,দর্শকের ভূমিকা প্রশাসন

প্রকাশঃ Jul 21, 2025 - 14:49
কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর ফুলতলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন,দর্শকের ভূমিকা প্রশাসন

রাতের আধারে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ফুলতলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বালি চুরি করে অবৈধভাবে উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। প্রতিদিন ৪০-৫০টি বালুবাহী অবৈধ স্যালে ইঞ্জিন চালিত ট্রলি গাড়ি দিয়ে বালু পরিবহণ করছে জসিম,জিসান,রুবেল ও মুক্তার । এতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।বালু উত্তোলনের ফলে ওই এলাকার সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও ধসের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা। প্রশাসনের লোকজন দেখেও না দেখার ভান করে থাকায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সার্চ কমিটির সদস্য হাফিজুল ইসলাম হাফিজের ছোট ভাই জসিম নেতৃত্বে জিসান,রুবেল ও মুক্তারের মাধ্যমে অবৈধভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালি উত্তোলন করছেন। তারা এলাকার প্রভাবশালী  বিএনপি নেতার আত্মীয় হওয়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে এই বালু তুলেছেন।সরেজমিনে গতকাল (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে ফুলতলায় গিয়ে দেখা যায়, অবস্থা অনেকটা মগের মুল্লুকের মতো। নিজের ইচ্ছা মতো ৪টি স্থান থেকে প্রায় ৪০-৫০টি ট্রলি দিয়ে বালু উত্তোলন করছে জসিম,জিসান,রুবেল ও মুক্তার। কিন্তু কারও যেন কিছু বলার নেই। কারণ তারা এলাকার প্রভাবশালী, কিছু বললেই তার নিস্তার নেই।স্থানীয়রা জানায়,বিএনপি নেতা হাফিজুল ইসলাম হাফিজের যোগসাজশে তার ভাই জসিম,জিসান,রুবেল,মুক্তার প্রতিনিয়ত এই বালি হরিলুট করছেন। কেউ বাধা দিতে গেলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা।বার-বার প্রশাসনকে অভিযোগ করলেও তাদের ভূমিকা  নিষ্ক্রিয় থাকায় কোন সুরাহা পাচ্ছেন না ।এ কারণে বালু চুরির এই মহোৎসব নীরবেই দেখছেন স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রাত ৪ টা থেকে সকাল ৮ পর্যন্ত বালির ট্রলি চলে। এই ট্রলির শব্দে রাতে ঠিকমত ঘুম হয় না। ট্রলি চলার কারণে রাস্তার বেহাল দশা। আমরা এলাকাবাসী অনেকবার নিষেধ করার পরেও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার বংশের হওয়ার আইনকানুন মানছে না। প্রশাসনও দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। বালি হরিলুট দ্রুত বন্ধের দাবিও জানান তিনি।বিএনপি নেতা হাফিজুল ইসলাম হাফিজ বলেন,আরও অনেকেই তো বালি তুলছে।যাদের যাদের গাড়ি আছে তারাই এই কাজ গুলো করছে।আমার নাম যদি কেউ বলে সেই সময় আমাকে ফোন দিয়েন।যারা এই কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে লেখেন।কুষ্টিয়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে আমরা শিমুলকে গ্রেফতার করেছি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষরা বাদী হয়ে মামলা করলে আমাদের জন্য কাজ আরো অনেক সহজ হয়ে যাবে। তারপরও আপনারা আমাকে জানিয়েছেন বিষয়টি আমি অবশ্যই দেখবো।এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.রাশিদুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ জামানকেনকে ফোন করলে তিনি বলেন, অবৈধভাবে কারা বালু উত্তোলন করছে এটা আমি জানিনা। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি তারপরে আপনাকে জানাবো।