শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না : মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল

প্রকাশঃ Aug 5, 2025 - 19:23
শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না : মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল

৫ই আগস্ট বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল ও বেদনাবিধুর দিন। এই দিনটি শুধুমাত্র একটি তারিখ নয়, বরং হাজারো শহীদের রক্তে লেখা এক প্রতিরোধের ইতিহাস। সেই রক্ত বৃথা যেতে পারে না— এই শপথে আজও দেশের মানুষ দৃঢ় প্রত্যয়ে উচ্চারণ করে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের দাবি। জুলাই ও আগস্ট মাস বাংলাদেশের ইতিহাসে আর্তনাদ ও প্রতিরোধের মাস হিসেবে চিহ্নিত। ২০১৮ সালের এই সময়কাল ছিল গুম, খুন, নির্যাতন ও নিপীড়নের এক ভয়াল চিত্র। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে একাত্ম হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল হাজারো সাধারণ মানুষ, ছাত্র-তরুণ, শ্রমজীবী জনতা। অন্যদিকে, এই দমনযন্ত্রের প্রতিবাদে যারা রক্ত দিলেন, তাদের আত্মত্যাগই আজকের গণতান্ত্রিক চেতনার বীজ।

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল এই দিনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “৫ই আগস্টের শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। তারা যে গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলেছিলেন, তা ছিল এই দেশের মানুষের মুক্তির গল্পের অনন্য অধ্যায়। আমরা সেই ত্যাগের মূল্য ধরে রাখবো, লড়াই চালিয়ে যাবো।”

তিনি আরও বলেন,
“জুলাই ও আগস্ট ছিল একদিকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের কালো সময়, অন্যদিকে সেই দমন ভেদ করে উজ্জ্বল হয়ে ওঠা প্রতিরোধের আলোকবর্তিকা। আজ সময় এসেছে আবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, শহীদদের স্বপ্ন পূরণে মাঠে নামার।” পাপেল দাবি করেন, যে রক্ত ঝরেছে তা যেন ভবিষ্যতের প্রজন্মের কাছে গৌরবের পাঠ হয়ে থাকে, ইতিহাসে তারা যেন জানতে পারে— এই মাটিতে কখনো অন্যায়কে মেনে নেওয়া হয়নি। জাতীয় জীবনে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠায় ৫ই আগস্টের বার্তা আমাদের নতুন করে সাহস জোগায়, প্রেরণা দেয় মুক্তির সংগ্রামে। শহীদদের আত্মত্যাগে গড়া এ দিনটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।