একমাত্র জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া ছাড়া সবাই স্বার্থে রাজনীতি করেছে: মোস্তফা জামান

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন এই দেশ কে স্বাধীন করেছেন। খালেদা জিয়া এই দেশর গণতন্ত্র পূর্ণ উদ্ধারের জন্য লরাই করে গেছে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। একমাত্র শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ম্যাডাম খালেদা জিয়া ছাড়া সবাই স্বার্থে রাজনীতি করেছে। রবিবার রাতে রাজধানীর উত্তরায় রেলগেট কাঁচাবাজার হাসান মাহমুদ কমপ্লেক্স দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা দোয়া ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও খাবার বিতরন করা হয়ে। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারের ইতিহাস জানেন কেউ? তার আপন ছোট ভাই যিনি সবার ছোট ছিলেন তিনি ২০১৭ সালে ইন্তেকাল করেন। কেন তার পরিবারের ইতিহাস জানেন না? শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বার্থের রাজনীতি করেননি। তিনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনা মত তার পারিবারিক রাজনীতি করেননি। বিভিন্ন পদে স্বজনদের বসাননি। তিনি সেই ব্যক্তি যে তিন বছর শাসন আমলে পরিবারের কাউকে রাজনীতিতে পদ পদবী দেননি। তার এই তিন বছর শুধু সাধারণ জনগণের জন্য রাজনীতি করেছে।
তিনি আরো বলেন, এদেশে যারা ক্ষমতায় ছিল সবাই তাদের নিজেদের স্বার্থে নিজেদের বিষয় নিয়ে চিন্তা করতেন। একমাত্র শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ম্যাডাম খালেদা জিয়া নিজেদের স্বার্থে রাজনীতি করতে পারেননি। তা না হলে ১৯৭১ সালে সেনা বিদ্রোহ করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারতেন না। তিনি একজন সেনা সদস্য ছিলেন। তখন ক্যান্টনমেন্ট তার পরিবারের জন্য অনিরাপদ ছিল। তার পরিবার ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে ছিল। সবকিছু অপেক্ষা করে তিনি দেশের জন্য সাধারণ জনগণের জন্য পরিবারকে বাজি রেখে স্বাধীনতার ভাষণ দিয়েছেন। দেশ স্বাধীন করেছেন। মোস্তফা জামান আরো বলেন, এই উপমহাদেশে দেশ প্রেম বা দেশকে জীবনের চেয়ে ভালোবাসে রাজনীতিবিদ কাউকে ধরতে হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিনি প্রথম। আমরা এখন অল্পতে ভয় পাই। তাই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ইতিহাস পরুন এতে চলার পথ অনেক সহজ হবে। আপনার মনে সাহস যোগাবে।
তিনি বলেন, দু একজনের কারণে বিএনপির দুর্নাম হচ্ছে। যারা চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী ও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে পূর্ণবাসনের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত ১৭ বছর আমরা তো কোন আত্মীয়-স্বজনের কাছে ঠাঁই পাইনি। যারা আত্মীয় আত্মীয় করবে এবং আওয়ামী লীগকে পূর্ণ বাসন করার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর চাঁদাবাজদের বিএনপিতে কোন ঠাই নেই। অনুষ্ঠানে হেলাল তালুকদার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি এম রাজ্জাক, আফাজ উদ্দিন আফাজ সহ বিভিন্ন থানার নেতা-কর্মীরা সহ অন্যান্যরা।