২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়ন

গত ২০ বছরের মধ্যে বিদায়ী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সর্বনিম্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাত্র ৬৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়।পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) ওয়েবসাইটে ২০০৪-২৫ অর্থবছর থেকে গত ২০ বছরের এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য দেওয়া আছে। ওই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে বিদায়ী অর্থবছরে।গতকাল বুধবার বিদায়ী অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়নের চিত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে এই চিত্র পাওয়া গেছে।বিদায়ী অর্থবছরে সংশোধিত এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা। বছর শেষে খরচ হয় মাত্র ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। বাস্তবায়ন হার ৬৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হয়নি বললেই চলে। এছাড়া আন্দোলনের সময়ে বেশ কয়েকদিন কারফিউ ছিল। বছরজুড়ে এক ধরনের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতাও ছিল। তারা আরও বলেন, গত বছর ক্ষমতার পটপরিবর্তনের কয়েকজন প্রকল্প পরিচালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক ঠিকাদার পালিয়ে গেছেন। এসব কারণে প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা পুরোটা খরচ যায়নি।বিদায়ী অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে। এমন ঘটনা খুব একটা ঘটেনি। কোভিডের শুরুর বছরে আগের বছরের কম খরচ হয়েছিল। তবে এত ব্যবধান হয়নি। গত অর্থবছরে এডিপির ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপির ২ লাখ ৫ হাজার ১১৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।২০০৪-০৫ অর্থবছরের পর থেকে গত অর্থবছর পর্যন্ত সংশোধিত এডিপির ৮০ শতাংশ থেকে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তারা। কিন্তু গত অর্থবছরের মতো এত কম বাস্তবায়ন হয়নি।
গত অর্থবছরের এডিপি বা প্রকল্প বাস্তবায়নে সবচেয়ে খারাপ করেছে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। এ বিভাগের ১৫টি প্রকল্পের অনুকূলে ২ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বছর শেষে এসব প্রকল্পের কর্মকর্তারা মাত্র ৩৫০ কোটি টাকা খরচ করেছেন। এই বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন হার মাত্র ১৫ শতাংশ।সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স করা শীর্ষ পাঁচের মাধ্যমে থাকা অন্য চারটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ হলো স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ (বাস্তবায়ন ২১ শতাংশ); নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (৩২ শতাংশ); বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (৩৭ শতাংশ); ভূমি মন্ত্রণালয় (৩৭ শতাংশ)। অন্যদিকে সবচেয়ে ভালো করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এই বিভাগ তাদের বরাদ্দের ৯৮ শতাংশ টাকা খরচ করেছে।