৪ শিশুকে বলাৎকার, মাদরাসা শিক্ষক আটক

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার চাষিরী হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার ৪ শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে আটক করছে পুলিশ। ভুক্তভোগী ৪ শিশুর মধ্যে এক শিশুর মা বাদী হয়ে এ ঘটনায় শনিবার (৩১ মে) রাত ৯ টার দিকে টঙ্গিবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করছেন। এর আগে বলাৎকারের ঘটনায় ওই মাদরাসা শিক্ষককে শনিবার সকাল ১০টা হতে ঘণ্টাব্যাপী মাদরাসায় অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক নারী ও পুলিশ। পরে পুলিশ উপস্থিত হয়ে ওই মাদরাসা শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলে স্থানীয় শত শত নারী ও পুরুষ অভিযুক্তের ওপর হামলার চেষ্টা চালালে পুলিশের উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হয়।
জানা যায়, অভিযুক্ত ওই মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল হামিদ প্রায় দেড় বছর আগে চাকরি নেন। পরে প্রায় এক বছর যাবৎ সে ছাত্রদের বলাৎকার করে আসছে। এর মধ্যে এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই শিশুর অভিভাবকরা শিশুকে অসুস্থতার বিষয়ে জানার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে শিশুটি বলাৎকারের বিষয়টি খুলে বলে। পরে ৪ শিশু মিলে ওই মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয়রা গিয়ে মাদরাসা শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে।
ভুক্তভোগী দুই শিশু বলেন, আমাদের সঙ্গে হুজুর দীর্ঘদিন যাবৎ খারাপ কাজ করে আসছে। আমরা এ বিষয়ে আমাদের হেফজো খানার এক বড় ভাইকে জানাই। বড় ভাই আমাদের মাদরাসার আল-আমিন হুজুরকে বিষয়টি জানালে আল আমিন হুজুর আমাদের কাছে প্রমাণ চায়। আমাদের কাছে প্রমাণ নেই বললে হুজুর জানান, তাহলে সে কিছু করতে পারবে না। এ ব্যাপারে আলামিন হুজুর বলেন, আমাকে এক ছাত্র এ বিষয়ে জানিয়েছিল। কিন্তু তাদের কাছে কোনো প্রমাণ না থাকায় আমি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। ভুক্তভোগী ওই ছাত্ররা আরও বলেন, আমরা আলামিন হুজুরের কাছে বিচার দেওয়ার পরে আ. হামিদ হুজুর আমাদের হুমকি দেয় এ বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমাদের মারধর করে মাদরাসা থেকে বের করে দেওয়া হবে। পরে সে আমাদের সঙ্গে আবারও বলাৎকার করে।ওই মাদরাসার প্রিন্সিপাল নেয়ামুল হাসান বলেন, এই এলাকার কিছু লোকজন সকাল বেলা মাদরাসা ঘেরাও করে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ এসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহীদুল ইসলাম বলেন, বলাৎকারের ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৪ জন ছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।